প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার কি কারনে যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা, মূল রহস্য জানাল র‌্যাব

কি কারনে যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা, মূল রহস্য জানাল র‌্যাব

রাজধানীর পল্লবী থানার যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া (৫০) হত্যা মামলায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী মো. মনির হোসেন সোহেল (৩০) ও সন্দেহভাজন মো. সুজন বা বুকপোড়া সুজন (৩৫)। দুজনই মিরপুরকেন্দ্রিক কুখ্যাত ফোর স্টার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

র‌্যাব জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডটি পল্লবীর রাজনৈতিক কোন্দল এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে। এই হত্যা সুপরিকল্পিত ছিল এবং অর্থ লেনদেনও এতে জড়িত ছিল।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় পল্লবী সি ব্লকের বিক্রমপুর সেনিটারি ও হার্ডওয়্যার দোকানের সামনে ছয়জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করে। পালানোর সময় তারা স্থানীয় জনতার ওপরও গুলি চালায়, এতে একজন রিকশাচালক গুরুতর আহত হন। পরে জনতা ধাওয়া করে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।

ঘটনার পর র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে। এরপর ১৮ নভেম্বর রাতে সাভারের বিরোলিয়া এলাকা থেকে পরিকল্পনাকারী সোহেল এবং টঙ্গীর মাজার বস্তি এলাকা থেকে সন্দেহভাজন সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড যাতে বড় অংকের অর্থের লেনদেন হয়। আসামিরা পেশাদার হত্যাকারী এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পাতা সোহেলের নামে একাধিক হত্যা, ডাকাতি, মাদকসহ পল্লবী থানায় মোট ৮টি মামলা রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, সোহেল ওরফে পাতা সোহেল অর্থ সরবরাহ করেছিলেন। তবে তিনি কীভাবে অর্থ পেয়েছেন কিংবা কার কাছ থেকে পেয়েছেন সেটা এখনও পরিস্কার না।

হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে প্রশ্নে র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, মিরপুর এলাকাকেন্দ্রিক আধিপত্য বিস্তার চাঁদাবাজি-মাদক ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং দ্বিতীয়টি হলো রাজনৈতিক কোন্দল। নিহত গোলাম কিবরিয়া একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য সচিব এবং মিরপুর এলাকায় রাজনৈতিকভাবে তিনি খুব সক্রিয় ছিলেন। এর আগে গোলাম কিবরিয়ার যাদের সঙ্গে সখ্য ছিল রাজনৈতিক মেরুকরণের পরে সেই তাদের বিরুদ্ধে তিনি কাজ করছিলেন। বিশেষ করে এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিতে নিহত গোলাম কিবরিয়ার সাপোর্ট ছিল না। হয়তো এ কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

সূত্র : বিডি২৪লাইভ