বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন বাংলাদেশের। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয়েছে চরম ক্ষমতাধর শেখ হাসিনার।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ স্বাধীনতা। স্বাধীন দেশের আকাশে আজ যে মুক্তির নিশান উড়ছে, তা অনেক ত্যাগের অশ্রুতে ভেজা। আমাদের সাহসী ভাইদের রক্তে রাঙানো পথে হাঁটতে গিয়ে তাদের ভুলে গিয়ে দেশকে সাজানোর কোনো মানে হয় না। আজ আমাদের প্রথম দায়িত্ব তাদের প্রতি, যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের জন্য লড়াই করেছেন, নিজেদের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় এ পর্যন্ত কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এর সঠিক সংখ্যা এখনও অজানা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল,নিহতের সংখ্যা অন্তত ৮৭৫ জনের মতো। আহত ও অঙ্গহানী হয়েছেন প্রায় ৬৭০০ জন। এছাড়াও পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সাংবাদিকের কিছু লোক মারা গিয়েছেন।
জনসাধারণ কতজন মারা গেছেন, তার কোনও হিসাব আমাদের কাছে নেই। কোনও থানায় এ সংক্রান্ত কোনও মামলাও দায়ের হয়নি। পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে,এ বিষয়ে পরে বলা যাবে।
তাদের মূল্যবান জীবন, যে জীবন তারা আমাদের জন্য উৎসর্গ করেছে, সেই জীবনের যত্ন নেওয়া, তাদের পাশে দাঁড়ানোই হোক আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। সেই সকল ভাইদের প্রতি আমাদের অন্তহীন শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। যারা নিজেদের নিঃস্ব করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের জানাই হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে সশ্রদ্ধ সালাম।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |