প্রচ্ছদ ধর্ম ও জীবন কাউকে অভিশাপ দেয়ার ভয়াবহতা

কাউকে অভিশাপ দেয়ার ভয়াবহতা

ধর্ম ও জীবন: কাউকে অভিশাপ দেয়া গুনাহের কাজ। পরকালে সফল হতে মুমিনের সব প্রকার গুনাহ থেকে বেঁকে থাকা উচিত। পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘যদি তোমরা নিষিদ্ধ কাজের বড় বড়গুলো থেকে বিরত থাকো, তাহলে আমি তোমাদের ছোট ছোট পাপগুলো ক্ষমা করে দেবো এবং তোমাদের এক মহা-মর্যাদার স্থানে প্রবেশ করাবো।’ (সুরা আন-নিসা, আয়াত: ১৭৬)।

অপর আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন পাপ বর্জন করো, যারা পাপ অর্জন করে তারা তাদের অর্জনের যথোচিত প্রতিফল পাবে।’ (সুরা আন’আম: আয়াত: ১২০) তবে বর্তমান সময়ে অনেকেই ছোট ছোট বিষয়েও একে-অপরকে অভিশাপ দিয়ে থাকেন। আবার কখনো কখনো সন্তানের কোনো কাজের জন্য বাবা-মাও তাদের লানত বা অভিশাপ করে থাকেন। অবলিলায় এমনটা অনেকে করে থাকলেও কাউকে অভিশাপ দেয়ায় কিন্তু কঠোর নিষেধ রয়েছে। সামুরা ইবন জুন্দুব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পরে আল্লাহর লানত, তার গজবের বা জাহান্নামের অভিশাপ দেবে না। (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৮২)

অপর হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলু্লাহ (সা.) বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি দোষ দেয় না, অভিসম্পাত করে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষী হয় না। (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৮৩) এমনকি কাউকে অভিশাপ দেয়াকে হত্যার সমতুল্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সাবিত ইবনু যাহহাক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, কোনো ব্যক্তি কোনো মুমিনের ওপর অভিশাপ দিলে তা তাকে হত্যা করারই শামিল হবে। আর কোনো মুমিনকে কাফির বলে অপবাদ দিলে, তাও তাকে হত্যা করারই মতো হবে। (সহিহ বুখারি, ৫৬২১)

আবার অন্যকে অভিশাপ দিলে তা নিজের জন্যই ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনে। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সামনে বাতাসকে লানত করে। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তুমি বাতাসকে লানত দেবে না। কেননা এ-তো নির্দেশিত। কেউ যদি কোনো বস্তুকে লানত দেয়, আর সে বস্তু যদি ওই লানতের পাত্র না হয়, তবে সেই লানত লানতকারীর দিকেই ফিরে আসে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬১৯; তিরমিজি, হাদিস: ১৯৮৪)