
ঈদুল আজহার কোরবানি ইসলামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করেন—কার ওপর কোরবানি ওয়াজিব? কত টাকা বা সম্পদের মালিক হলে একজন মুসলমানের জন্য কোরবানি ফরজ হয়ে যায়?
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী:প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী ও মুকিম (অর্থাৎ ভ্রমণে নয়) এমন মুসলিম নারী-পুরুষ—যিনি ঈদের দিনগুলোতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়।
নেসাব বা সম্পদের পরিমাণ কত
স্বর্ণ – সাড়ে ৭ ভরি (প্রায় ৮৭.৫ গ্রাম)
রুপা – সাড়ে ৫২.৫ ভরি (প্রায় ৬১২ গ্রাম)
অথবা রুপার সমমূল্যের যেকোনো সম্পদ (বর্তমানে আনুমানিক ৫৫,০০০ টাকা)
যদি কারও কাছে স্বর্ণ-রুপা, নগদ অর্থ, অতিরিক্ত জমি-বাড়ি, অলঙ্কার, ব্যবসার পণ্য বা অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র থাকে এবং সব মিলিয়ে উল্লিখিত পরিমাণে পৌঁছে—তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়।
কোরবানির জন্য সম্পদের ওপর এক বছর পার হওয়া জরুরি নয়। বরং ঈদের সময় এই পরিমাণ সম্পদ আপনার হাতে থাকলেই কোরবানি করা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনও কোরবানি ছাড়েননি এবং কোরবানি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়াকে তিনি কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এ কারণে যারা সামর্থ্য রাখেন, তাদের অবশ্যই কোরবানি করা উচিত।