
ঢাকায় পৌঁছেছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই আন্দোলেনের সম্মুখসারির নেতা শহীদ শরীফ ওসমান হাদির মরদেহ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তার মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৩৮৫ ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবারের দাবিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে, তবে তার মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে হিমাগারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে শহীদ ওসমান হাদিকে রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে এসে অবস্থান নেবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া এভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আজকের পরিবর্তে আগামীকাল মিছিলসহ ভাইকে সেন্ট্রাল মসজিদে আনা হবে।
পোষ্টে আরো বলা হয়, হাদির মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবে না। ছাত্র-জনতা আজ ও আগামীকাল শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন জারি রাখবেন যেন কোনো গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন স্তিমিত করতে না পারে, একইসঙ্গে সহিংসতা করার সুযোগও না পায়—সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুতে আজ সারা দেশে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাদি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন শেষে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : কালের কণ্ঠ












































