বাংলাদেশ: পাওনা টাকা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বরিশালে এক দম্পতিকে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নৃশংসতা থেকে বাদ যায়নি দেড় বছরের কন্যাশিশুও। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে বরিশালের সদর উপজেলার চর নেহালগঞ্জ এলাকার হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা যায়, বিছানায় কাতরাচ্ছে এসিডে দগ্ধ দেড় বছরের শিশু জান্নাতি। নিজ সন্তানের এমন কষ্ট দেখে কান্না থামছে না স্বজনদেরও। শুধু দেড় বছরের শিশু জান্নাতিই নয়, তার বাবা রিয়াজ ও মা খাদিজাও এসিডে দগ্ধ হয়ে ভর্তি হয়েছেন ওই হাসপাতালে। আহতদের দাবি এলাকার ফিরোজ, মিরাজ, নাসিম ও নিজামের সঙ্গে জমি ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলছে। প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। এর জেরে শুক্রবার রাতে ঘুমাতে গেলে জানালার দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে ফিরোজসহ অন্যরা। আহত রিয়াজ হাওলাদার বলেন, আমার সাথে বিরোধ থাকার পরও তারা আমাকে না মেরে আমার পরিবারকে মেরেছে। আমার ছোট শিশুটিও বাদ যায়নি। আমি এর বিচার চাই। আমার সঙ্গে বিরোধ তোরা আমাকে মারবি। আমার শিশু কী দোষ করেছে? ফিরোজ, মিরাজ, নাসিম ও নিজামের বিচার চাই।
চিকিৎসকরা বলছেন, আহত তিনজনের মধ্যে শিশু জান্নাতি ও তার বাবার অবস্থা গুরুতর। তাদের বার্ন ইউনিটে বিশেষ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, এসিড নিক্ষেপের মতো খারাপ কাজ আর নেই। বাচ্চা ও তার বাবার অবস্থা কিছুটা খারাপ। তাদের বার্ন ইউনিটে বিশেষ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজ, মিরাজ, নাসিম ও নিজামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল। আহত রিয়াজ হাওলাদার চর নেহালগঞ্জ এলাকার রশিদ হাওলাদারের ছেলে। পেশায় তিনি মৎস্যজীবী। এর আগেও ফিরোজ, মিরাজ, নাসিম ও নিজাম মিলে রিয়াজ হাওলাদারকে পিটিয়েছিল। ওই ঘটনায় একটি মামলা এখনও আদালতে চলমান।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |