কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্লাটটিতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার ছবি পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে ফ্ল্যাটটিতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কসাই জিহাদ স্বীকারোক্তি দিয়ে জানাচ্ছেন- বালিশ চাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করার পর ঐ ফ্ল্যাটের বাথরুমে কীভাবে তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফ্ল্যাশ করা হয়।
হত্যার পর এমপিকে বেঁধে রাখার চিত্রও প্রকাশ পেয়েছে ভিডিওতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অজ্ঞান করার রাসায়নিক ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি খুনিরা। মৃত আনারকে চেয়ারে বসিয়ে তার হাত ও পা শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়।
মে মাসে কলকাতার নিউ টাউনের বিলাসবহুল আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেন্সে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ঘটনার ৩ দিন পর সরকারের কাছে ভারতে বাবার নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভারতের বিদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে।
তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামানই খুন করিয়েছেন আনারকে। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। খুনের পর জিহাদ হাওলাদার নামে এক কসাইকে দিয়ে আনারের দেহ টুকরো টুকরো করানো হয়। হাড়-মাংস আলাদা করে দেহাংশ ফেলে দেওয়া হয় কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন খালে।
গত ২৮ মে সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু মাংস উদ্ধার হয়। এরপর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ভাঙড়ের খাল থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। তবে মাংস ও হাড় আনারের কি না, তা জানতে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) দিকে তাকিয়ে তদন্তকারীরা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |