বাংলাদেশ: নতুন পাঠ্যপুস্তক বইয়ের বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছে না। এবার কিশোরগঞ্জে কয়েকটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের ভেতরে পাওয়া গেলো হিন্দু ধর্ম বিষয়ের বেশ কিছু পাতা। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হাসমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায় জানুয়ারির শুরুতে। ইসলাম শিক্ষা বইটির পাতা উল্টানোর সময় ১২ পৃষ্ঠা থেকে ২৭ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পাতায় দেবদেবীর ছবি দেখতে পেয়ে অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদের বিষয়টি জানায় তারা।
অভিভাবকরা বলেন, এক ধর্মের পাঠ্য বইয়ে অন্য ধর্মের বিষয় ঢুকে পড়া কখনো কাঙ্ক্ষিত নয়। এর ফলে আমরা অভিভাবক হিসেবে হতাশায় ভুগছি। বইগুলো দ্রুত নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হোক। এমন ভুল কোমলমতি শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। হাসমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া ইয়াছমীন বলেন, ‘বাচ্চারা বইগুলো দেখানোর পর আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এবং তারা জানিয়েছেন দ্রুতই সংশোধিত বই দেয়া হবে। বইগুলো হাতে পেলে আমরা বাচ্চাদের কাছে দ্রুতই পৌঁছে দেব।’ আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন শোকরানা বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন বাসায় নিয়ে বইগুলো দেখবে আর যখন এরকম বিষয়গুলো চোখে পড়বে তখন তার কাছে বইটি নিখুঁত মনে হবে না, নিখুঁত বইগুলো পৌঁছানোর জন্য নিরলসভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা বলেন, ‘মুদ্রণত্রুটির কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে। বিষয়টি এনসিটিবিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সংশোধিত বইগুলো হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বই না পড়াতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলায় ২৬৬টি হাইস্কুল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |