দেশের বিভিন্ন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এসব কারণে দেশের বিভিন্ন জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেশের তিনটি জেলায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মাদ্রাসাও ছুটির আওতায় আনা হয়েছে। জেলাগুলো হলো- চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম।
এর আগে বৃষ্টিপাতের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা জেলার ১৪১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৯টি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তীব্র শীতের কারণে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নামায় জেলার সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা শিক্ষা বিভাগ। সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি শীতের তীব্রতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সে অনুযায়ী চলমান শৈত্যপ্রবাহে দেশের যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামবে, সেখানে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা যাবে। মাউশির সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যাবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন জেলায় চলমান শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনো জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে আঞ্চলিক উপপরিচালকরা স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |