প্রচ্ছদ হেড লাইন এক দেশের প্রেসিডেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

এক দেশের প্রেসিডেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া, তার স্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৫ মার্চ) মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। খবর আলজাজিরার।

এবারের মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জিম্বাবুয়ের ৩টি কোম্পানি ও ১১ জনকে নিশানা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট এমারসন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কনস্টান্টিনো চিভেনগা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াল্টার ট্যাপফুমানেয়ি প্রমুখ রয়েছেন। সর্বপ্রথম ২০০৩ সালে আফ্রিকার এই দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এবার ওই নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচি পর্যালোচনা শেষে সোমবার তাদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এ ছাড়া আগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিদের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ওয়ালি আদেয়েমো বলেছেন, চিরদিনের সত্যকে স্পষ্ট করতেই আমরা আজ এই পরিবর্তন করছি। সত্যটা হলো আমাদের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্যে জিম্বাবুয়ের জনগণকে টার্গেট করা নয়। আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিশানা করার দিকে মনোনিবেশ করছি। প্রেসিডেন্ট এমারসনের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে সবচেয়ে বেশি দায়ী। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসনের বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও হিরা চোরাচালানকারিদের সুরক্ষা দেওয়া অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের কালো বাজারে স্বর্ণ ও হিরা বিক্রিতে সহায়তা করার নির্দেশনা দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।