প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক এক আসনে ডুবলেন নওয়াজ, মরিয়মের খবর কী?

এক আসনে ডুবলেন নওয়াজ, মরিয়মের খবর কী?

আন্তর্জাতিক: পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও এখনো আসেনি ফলাফল, যা নিয়ে ইতোমধ্যে কারচুপির অভিযোগ করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। এমনকি ভোট গণনায় এমন বিলম্বকে অস্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা।

বেসরকারি তথ্যমতে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তবে তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের ভাগ্যে আসলে কী পরিণতি ঘটেছে তা নিয়ে অনেকের আগ্রহের শেষ নেই।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এ নির্বাচনে সংসদীয় আসন পিপি-১৫৯ লাহোর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহের শরাফাত।

বেসরকারি তথ্যমতে, এ আসনে মরিয়ম নওয়াজ পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৯৮ ভোট। এর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ২১ হাজার ৪৯১ ভোট। ফলে আসনটিতে ২ হাজার ৭৭ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পাকিস্তানে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনকে ঘিরে বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে। এ দিন দেশজুড়ে মোবাইল ফোন সংযোগ স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া বোমা হামলা ও নানা সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে নির্বাচন। এরপর ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণায় ধীরগতি দেখা যাওয়ায় এসব সহিংসতা এবং ইন্টারনেট সমস্যাকে দায়ী করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্র থেকে ফল আসতে অস্বাভাবিক ধীরগতির কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সও।

যদিও কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই বলছে, ফল প্রকাশে এই বিলম্ব ভোট কারচুপির লক্ষণ। এবারের নির্বাচনে ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী দিতে হয়েছে ইমরানের দল পিটিআইকে।

এদিকে দেশটির টিভি চ্যানেলের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে ইঙ্গিত করা হচ্ছে যে, ভোট গণনায় ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। পিটিআই নেতারাও নিজেদের বিজয়ের বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ১৩৬ আসনে এগিয়ে আছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাবেক মহাসচিব নেতা ওমর আইয়ুব খান। তিনি বলেছেন, কারচুপির জন্য ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।