প্রচ্ছদ বিনোদন এই তোশিবা কি সেই তোশিবা?

এই তোশিবা কি সেই তোশিবা?

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বেশ কিছুদিন থেকে তোশিবা বেগমের টিকটক প্লাটফর্ম সহ বিভিন্ন কনটেন্টে দৃষ্টিকটো অশালীন কাপড় অঙ্গ ভঙ্গীর কারনে বিতর্কিত। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে গিয়ে অনুষ্ঠানের পর থেকে তোশিবার গায়ে ভিন্ন বাতাস। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তোশিবার এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়। একজন লিখেন তোশিবা (মমতাজ) খ্যাত ইংল্যান্ডে গিয়ে ঘরোয়া পাটিতে মনোরঞ্জন দেয় কেন কি আছে ওর যে ওরে দিয়ে ডানস করাতে হবে রাতের আঁধারে। 

তোশিবা ঢাকার বার ডানস ক্লাবে নিয়মিত ডানস গান করে থাকেন বলে জানা যায়। জানা যায় ডানা মেলার পর থেকে তোশিবা ঢাকাতে অবস্থান করে থাকেন ঢাকাতে অবস্থানের পর থেকে তোশিবার ডাক রাজধানীর বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আসে যা ভালমন্দ মিলিয়ে অনেক সময় নিন্দনীয় কাজ গুলা প্রকাশ হতে দেখা যায়। 

তোশিবাকে নিয়ে ফেসবুকে একপি পোস্ট দেখা যায় যা হুবহু তুলে ধরা হলো- তোশিবা বেগম— যিনি সিলেটের মাটি থেকে উঠে এসে আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে গান করছেন। জন্ম ছাতকের হলেও বেড়ে ওঠা সিলেটে। সিলেটের লোকগানের প্রতি ভালোবাসা আর সামাজিক মাধ্যমে সরল গান পোস্ট করার মাধ্যমেই তার পরিচিতির সূচনা। বিশেষ করে ‘আইলারা নয়া দামান্দ’ গানটি যেন তাকে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়।

 

প্রায় পাঁচ বছর আগে, সবুজ সিলেট-এর সম্পাদক মুজিব ভাই তোশিবাকে নিয়ে একটি লাইভ অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন। তখন অভিযোগ উঠেছিল যে তার প্রাপ্য কৃতিত্ব অন্য কেউ নিয়ে যাচ্ছেন। আমি অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় লাইভটি করি, কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেটিও জনপ্রিয়তা পায়। সে সময় তোশিবাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী অনেক জাতীয় পর্যায়ের ব্যক্তিকে আমি নিজেই তার সঙ্গে যুক্ত করে দেই।

 

তখন যে তোশিবাকে দেখেছিলাম—একজন শালীন, ভদ্র, আত্মবিশ্বাসী শিল্পী—সেই তোশিবা আজকের তোশিবার সঙ্গে মেলাতে কষ্ট হচ্ছে।

 

আজ সকালে ফেসবুকে হঠাৎ দেখি তোশিবার একটি পারফরম্যান্সের ভিডিও, সম্ভবত কানাডার কোনো অনুষ্ঠানের। ভিডিওটি দেখে এবং বিশেষ করে তার কমেন্টবক্স ঘেঁটে আমি যারপরনাই হতাশ হই। এর আগেও তার পোশাক নিয়ে কথা উঠেছে, এবারও একই প্রসঙ্গ—তবে আরও প্রকাশ্য ও দৃষ্টিকটুভাবে।

 

একজন গায়িকা হিসেবে তোশিবার কণ্ঠে এখনও অনেক শক্তি আছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো, নিজেকে তুলে ধরার জন্য কি অশালীন ভঙ্গিমা কিংবা পোশাকের প্রয়োজন আছে? বাংলাদেশের অনেক গায়িকাই শালীনতা বজায় রেখেই বছরের পর বছর শ্রোতাদের ভালোবাসা অর্জন করে গেছেন।

 

এই লেখার উদ্দেশ্য কাউকে হেয় করা নয়। বরং তোশিবার মতো প্রতিভাবান একজন শিল্পীর কাছে একটি অনুরোধ—আলোচনায় থাকতে চাইলে গানের শক্তিতে থাকুন, শালীনতায় থাকুন। জন্ম যদি ছাতকে হয়, তবে সেটিই যেন আপনার সংস্কৃতি ও আচরণে প্রতিফলিত হয়। কারণ, আপনি শুধু একজন গায়িকা নন, একটি অঞ্চলের প্রতিনিধিও বটে।

 

ভুল হতেই পারে, কিন্তু সংশোধনের দরজা সব সময় খোলা। তোশিবার প্রতি শুভকামনা থাকবে, যেন তিনি বুঝতে পারেন—টিকটকের ভাইরাল ট্রেন্ড নয়, একজন শিল্পীর দীর্ঘস্থায়ী পরিচয় হয় তার শালীনতা, স্বকীয়তা আর সম্মানের জায়গা থেকে।

 

শেষ কথা: হয়তো এই লেখাটি তোশিবার চোখে পড়বে না, কিন্তু যারা তাকে গড়ে তুলতে কোনো এক সময়ে পাশে ছিলেন, তাদের মনে নিশ্চয় এই একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—“এই তোশিবা কি সেই তোশিবা?”