
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের দেখতে রাজনীতিবিদরা ভিড় জমানোয় উত্তরার আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হট্টগোলোর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল ৪টায় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সেই হাসপাতালে যান। এসময় সেখানে উপস্থিতদের কেউ কেউ তাদের আগমনকে কেন্দ্র করে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন। কেউ কেউ তাদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন। যদিও স্লোগানদাতাদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর জামায়াত নেতারা হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে আসা দগ্ধদের খোঁজ-খবর নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। এসময় জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে ছিলেন দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এর কিছু সময় পর আহতদের দেখতে ওই হাসপাতালে যান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এসময় স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে বাধা দেন। এক পর্যায়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য হন ছাত্রদল সভাপতি রাকিব।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এস এম রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে আমাদের হাসপাতালে ১৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪০-৪৫ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল, সবার শরীর ৭০-৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এখন ২৩ জন উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি। তবে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।’