প্রচ্ছদ ধর্ম ইসলামে সঠিক সময়ে সন্তানকে বিয়ে করানোর গুরুত্ব

ইসলামে সঠিক সময়ে সন্তানকে বিয়ে করানোর গুরুত্ব

অন্যদিকে অবিবাহিত যুবকরা বিয়ের চিন্তায় বিভোর হয়ে আছে। তারা বিয়ের পথ খুঁজছে, অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এই দুশ্রেণির মাঝে এক বড় প্রতিবন্ধক সৃষ্টি হয়ে আছে, যে প্রতিবন্ধক তাদেরকে হালাল মিলনের পথে বাধা দিচ্ছে।

বর্তমানে দেখা যায়. অভিভাবকরা ছেলে-মেয়ের মনের আশা-আকাংখা, ভালোলাগাটা বুঝতে চেষ্টা করছে না। কিংবা বুঝলেও না বোঝার ভান করে থাকেন। ছেলে-মেয়ে কেমন পাত্র-পাত্রী পছন্দ করে তাও একটু লক্ষ্য করেন না।

বরং নিজেদের মনগড়া কাজ করে যাচ্ছেন। এর দ্বারা ছেলে মেয়ের ইচ্ছাও পূর্ণ হয় না আবার নিজ আকাংখাও মিটে না। যার ফলে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলে-মেয়েদের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।

অপর দিকে অভিভাবকদের মন মতো না মিলায় এবং ছেলে-মেয়ের ইচ্ছার প্রতিফলন না হওয়ায় তাদের সামনে নতুন অবয়বে ধরা দেয় যেনা-ব্যভিচারের নোংরা পথ।

অথচ আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, তোমরা যেনা-ব্যভিচারের ধারে কাছেও যেও না, নিঃসন্দেহ এ হচ্ছে একটি অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট পথ। (সুরা বানি ইসরাঈল: ৩২)

সমাজের এই যুবক-যুবতিদের তারুণ্যদীপ্ত জীবনকে হালাল পথ ছেড়ে দিয়ে হারাম পথকে গ্রহণ করার পেছনে অনেক অংশে অভিভাবকরা দায়ী। একারনে আজকের যুবক-যুবতিরা জৈবিক চাহিদা মেটাতে নানা পন্থা অবলম্বন করে থাকে।

কেননা সেখানে তাদেরকে কোন বাধা-বিপত্তির ধার ধারতে হয় না। তরুণ-তরুণীদের ওই পথে যাওয়ার পেছনে সম্মানিত বাবা-মায়েরা সব থেকে বেশি দায়ী, কেননা যারা এখনও উপলদ্ধি করতে পারছেন না যে, বর্তমানে ধ্বংসকারী ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলছে।

যা আর্দশ নীতি-নৈতিকতা, চরিত্র, সম্মান সবকিছু নিঃশেষ করে দিচ্ছে । এর কোনো প্রতিষেধক নেই এবং মুক্তির কোনো উপায়ও নেই। তবে একটি মাত্র পথ খোলা, সেটা হচ্ছে বিয়ে।

বিচক্ষণ অভিভাবকদের জন্য উচিত হলো- তাদের জন্য শরিয়তসম্মত পন্থায় দ্বীনদারি ও নীতি-নৈতিকতা এবং চারিত্রকতা বিবেচনা করে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া। আর বিয়ে-শাদীতে যে ব্যক্তি বাধা হয়ে দাঁড়ায় অথবা বিয়ে-শাদীতে বিভিন্নশর্ত আরোপ করে জটিলতা সৃষ্টি করে, এসবের জন্য তাদের জবাবদিহিতার সম্মুখিন হতে হবে।

আর এই অবহেলার কারণে যদি যুবক-যুবতিদের সঠিক সময় বিবাহ দেওয়া না হয়, তাহলে এই যুবক যুবতিরা তাদের চাহিদা নিবারনের জন্য যত প্রকার অন্যায় কাজ করবে, তার ইহকালীন ও পরকালীন সকল পাপের একাংশ অবশ্যই সেই অভিভাবকদেরকে নিতে হবে।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল অভিভাবকদেরকে এ মাহান দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।