সারাদেশ: অবশেষে ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেদের। জাল, নৌকা নিয়ে নদীতে ছুটছেন তারা, মেতেছেন ইলিশ ধরার উৎসবে। এদিকে ইলিশ ধরা পড়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে আড়তগুলো। ক্ষতি পুশিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ইলিশ শিকারের পর মাছ ভর্তি ঝুড়ি নিয়ে ঘাটে ফিরছে জেলেরা। এর ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেদের।
দেরিতে হলেও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে এখন ধরা পড়ছে ইলিশ। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের। জেলে কাসেম, জহিদ ও ইকবাল বলেন, ভরা মৌসুমে তেমন মাছ উঠেনি তবে গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে মাছ ধরা পরছে। এখন যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে বিগত দিনের ক্ষতি পুশিয়ে উঠা যাবে। এদিকে উপকূলীয় ঘাট থেকে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ভোলার ইলিশ যায় রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি আড়তে। তবে নদীতে মাছের প্রাপ্যতা এমন থাকলে দাম কিছুটা কমার কথাও জানান কেউ কেউ।
জেলে আব্বাস ও ছিদ্দিক বলেন, মাছের দাম এখনও কমেনি। যেহেতু এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। দাম কমার সম্ভাবনা আছে। জানা গেছে, ইলিশের চাহিদা ও দরদাম নিয়ে সন্তুষ্ট মৎস্যজীবীরা। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন ঘাটে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ইলিশ কেনা-বেচা হচ্ছে বলে জানান আড়ৎদাররা। ইলিশা ঘাটের আড়তদার সাহাবুদ্দিন জানান, আমাদের এ ঘাটে আগে ২/৩ লাখ টাকার মাছের কেনাবেচা হতো, এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০/১৫ লাখ টাকায়। জেলার সব ঘাট মিলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এখন সবাই ব্যস্ত মাছ ধরা ও কেনাবেচা নিয়ে। এ অবস্থা থাকলে দাম কিছুটা কমে যাবে। ইলিশের উৎপাদন বাড়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে আশাবাদী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব। তিনি বলেন, এ বছরের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৮৩ হাজার টন। ইলিশ ধরা পড়ায় এবার লক্ষ্যপূরণ হতে পারে। এদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এটা অব্যাহত থাকলে জেলার দুই লক্ষাধিক জেলের আর্থিক সংকট কাটবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |