দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ নিয়মিত তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ইসলামিক নানা বিষয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি তার ২২১তম পর্বে নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হন। সেখান থেকে বাছাই করে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরা হলে।
ফরিদ উদ্দিন নামে একজন প্রশ্ন করেছেন, ইতিকাফে বসে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে কিনা? মোবাইলে ব্যবসা করা যাবে বা কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া যাবে কিনা?
এই প্রশ্নের উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইতিকাফ হলো দুনিয়ার সমস্ত ব্যস্ততাকে ফেলে রেখে আল্লাহর ইবাদতে ১০টি দিনের জন্য মাশগুল হয়ে যাওয়ার নাম। সুতরাং এই ১০দিন আমাদের ইবাদত বন্দেগি এবং নেক আমলে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে এরকম যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে।
মোবাইল ব্যবহার ইতিকাফরত অবস্থায় নিষিদ্ধ নয়। তবে মোবাইলে যদি আমরা এমন কিছু দেখি বা এমন কিছু করি যেটা প্রথমত দুনিয়ার কাজ, দ্বিতীয়ত গোনাহের কাজ তাহলে ইতিকাফরত অবস্থায় এটা আরও জঘন্য কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। একান্ত যেগুলো না করলেই নয়, সেগুলো সারলেন। দ্বীনি কোনো কাজ করলে জায়েজ আছে।
এছাড়া যদি মোবাইলে আমরা অহেতু গল্প-আড্ডা করতে থাকি, সোস্যাল মিডিয়াতে সময় নষ্ট করতে থাকি তাহলে আমাদের ইতিকাফের যে প্রাণ সেটি নষ্ট হবে। সেই সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার শরিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে, ইতিকাফ যেহেতু ইবাদতে মগ্ন হওয়ার অপর নাম, সুতরাং এখানে ব্যবসা বাণিজ্য না করে পরিপূর্ণ ইতিকাফে মনোযোগি হতে হবে। যদি কারও অবস্থা এমন হয় যে এই ব্যবসা পরিচালনা না করলে তার পরিবারের খাবারে কষ্ট হবে, তার খাদ্যের কষ্ট হবে, তার ওপর জীবন ধারণ করতে হয়, সেক্ষেত্রে তিনি মসজিদে বসে তার কেনাবেচার আইটেমগুলো বাহিরে রেখে কেনাবেচা করতে পারবেন।
আর মোবাইলেও যদি তার জরুরি কোনো কাজ থাকে যেটার ওপর তার নির্ভর করতে হয় তাহলে করা যাবে। তবে মসজিদে বসে টানা মিটিং করবেন, তা করা যাবে না। কারণ এগুলো থেকে মুক্ত থাকার জন্যই ইতিকাফ। অতএব যে কাজটা একেবারেই না হলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেটা ইতিকাফরত অবস্থায় করতে পারবেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও আলোচক।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |