প্রচ্ছদ হেড লাইন আহতরা চিকিৎসা খরচ যোগাতে বাচ্চা সহ সহায় সম্পদ বিক্রি করছেন

আহতরা চিকিৎসা খরচ যোগাতে বাচ্চা সহ সহায় সম্পদ বিক্রি করছেন

হেড লাইন: আহতরা চিকিৎসা খরচ যোগাতে বাচ্চা সহ সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করছেন। অপর দিকে পাতিনেতারা এখনি শুরু করে দিয়েছে চাঁদাবাজি। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঢালাওভাবে মোটা অঙ্কের চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। চাঁদা না দিলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে নেটিজেন দের মাঝে চলছে তুমুল সমালোচনা এক ব্যক্তি সোস্যাল মিডিয়া লিখেছেন, পিটিয়ে মারার রাজনীতি বন্ধ হোক! প্রতিশোধের স্পৃহা বন্ধ হোক! অন্যায় করলে আইনের আওতায় আনুন। আপনি যাকে বিনা বিচারে হত্যা করছেন তার বউ বাচ্চা আছে, ঘরে হয়তো বৃদ্ধ মা বাবা আছেন, হয়তো পরিবারে কোন প্রতিবন্ধী আছে ।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার অভিযোগে হামলার শিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদের মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে অনেককে। মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে ফার্মেসিতে গিয়েছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মাসুদ। পথিমধ্যে হামলার শিকার হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এতিম হয় তার চারদিনের শিশু কন্যা।

মাসুদের বিষয়টি এরইমধ্যে ছড়িয়ে পরেছে সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই করেছেন প্রতিবাদ। প্রতিহিংসার রাজনীতির বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন তারা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ সোমবার নিজের ফেসবুকে ফারুকী লেখেন, রাজশাহীর ঘটনাটা মনটা দুমড়ে মুচড়ে দিল। ছোট বাচ্চাটার দিকে কি আমরা তাকাতে পারব? যদি তার বাবা অপরাধ করেও থাকে কে মবকে লাইসেন্স দিল বিচার করার?  এরপর ফারুকী লিখেছেন, মবরাজ থামান। শৃংখলা আনেন। না হলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না।  নির্মাতা আরও লেখেন, আমি জানি পুলিশ বাহিনীকে দূর্বল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর সমাধানের পথে তো হাঁটতে হবে। সবাই ঐক্য ধরে রেখে মববাজি থামাতে হবে। পুলিশকে আরও কনফিডেন্স দিয়ে এঙ্গেজ করতে হবে।

সবশেষে ফারুকী বলেন, বিপ্লবের কৃতিত্ব কার, কে ক্রিম খাবে, কাকে ঠেকিয়ে কাকে ওঠাতে হবে এটা পরেও করা যাবে। এখন এটা নিয়ে বিজি থাকলে বিশৃংখলাই কেবল বাড়বে। ফ্যাসিস্ট শক্তি এটাই চায়। এখন ভাবেন তার চাওয়া পূরণ করবেন নাকি ইফেকটিভ সরকার কায়েম করবেন। প্লিজ। গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় যান আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার অভিযোগে তার ওপর হামলা করা হয়। পরে একদল শিক্ষার্থী তাকে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যান। কিন্তু মতিহার থানায় ৫ আগস্টের সহিংসতার কোনও মামলা নেই। তাই বোয়ালিয়া থানায় আনা হয়, যেন কোনও সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখে সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

সূত্র: আরটিভি

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।