হেড লাইন: সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বেড়েছে। এছাড়া দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে আলুর দাম। পণ্যটির দাম এখন প্রতি কেজি চালের দামের চেয়েও বেশি। অন্যদিকে পিয়াজ, রসুন, আদা ও চিনি আগের উচ্চমূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে মুরগির দাম বাড়ায়, খুচরা বাজারেও মুরগি বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এদিকে পুরনোর সঙ্গে শীত মৌসুমে যুক্ত হয় নতুন আলু। ক্রেতারাও শীতকালীন সবজির সঙ্গে সাধারণত স্বস্তিতে কেনেন পণ্যটি।
তবে এবারের শীতের চিত্র একেবারে ভিন্ন। আলুর কেজি ঠেকেছে ৮০ টাকায়। ফলে দাম বিবেচনায় উচ্চমূল্যের চালকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে আলু। আলুর দাম বাড়া প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের যুক্তি সরবরাহ কম থাকা। যদিও রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে আলুর কোনো সংকট পাওয়া যায়নি। আলুর মতো পিয়াজের বাজার এখনো চড়া। ক্রেতাকে প্রতি কেজি নতুন দেশি পিয়াজ কিনতে হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। পুরনো দেশি পিয়াজের দাম পড়ছে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা। ওদিকে ভরা মৌসুমেও নতুন করে আরও বেড়েছে প্রায় সকল ধরনের সবজির দাম। শুক্রবার বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এসব বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাছের বাজার আগের উচ্চমূল্যেই স্থির রয়েছে। শুক্রবার এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায় এবং সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |