প্রচ্ছদ জাতীয় আ’লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে : রাশেদ খান

আ’লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে : রাশেদ খান

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে,দেশে-বিদেশে নানান ষড়যন্ত্র আভাস মিলছে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সাম্প্রতিক বৈঠকে নাকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আসন্ন নির্বাচনে ‘সুযোগ করে দেওয়ার’ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন। রাশেদ খানের দাবি, রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে, যদিও সংশ্লিষ্ট কোনো রাষ্ট্রীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য কিংবা নিশ্চয়তা দেয়নি।

বাংলাদেশের জনগণের রায় নিয়ে নয়, বরং পর্দার আড়ালের বৈঠকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনার চেষ্টা চলছে।

দিল্লি ও ঢাকার শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেখানে আ’লীগের জন্য রাজনৈতিক সুবিধা তৈরির বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের ভেতরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করা এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক কার্যক্রম সীমিত করার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আলোচনায় ভারতকে ব্যবহার করা হচ্ছে আঞ্চলিক নিরাপত্তার যুক্তিতে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বৈঠক হওয়া নতুন বিষয় নয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো প্রায়ই সীমান্ত, সন্ত্রাস দমন, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অর্থনৈতিক নীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা করে থাকে। তাই নির্বাচনী রাজনীতির সঙ্গে এই বৈঠকের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সরকারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের নেতারা বরাবরের মতোই দাবি করে আসছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে, এবং কোনো বিদেশি রাষ্ট্র বা শক্তির প্রভাব এতে থাকবে না।

এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই রাশেদ খানের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণের দাবি করেছেন। তাদের মতে, নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ধরনের বিদেশি প্রভাব বা অস্বচ্ছ উদ্যোগ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।