বাংলাদেশ: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে আগের অর্থবছর ২০২২-২৩ সালের (জুলাই-ডিসেম্বর) তুলনায় চলতি অর্থবছর ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডার বাজারে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপের বাজারে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ, আমেরিকায় ৫ দশমিক ৬৯ এবং কানাডায় ৪ দশমকি ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ইইউর বাজারে ১১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ২ দশমিক ১৫, ৯ দশমিক ১১ এবং ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।
ওই সময়ে ইতালিতে পোশাক রপ্তানি ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া অঞ্চলটিতে আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ২৪ শতাংশ কম। এমনকি জার্মানিতে উল্লিখিত সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। বিজিএমইএ জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আমাদের পোশাক রপ্তানি যথাক্রমে ৪ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন এবং ৭৪১ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ৪ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি ৯ দশমকি ৯৮ শতাংশ, ২৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভারতে পোশাক রপ্তানি ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |