সারাদেশ: ময়মনসিংহ শহরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অপর্ণা বসাক (৩০) নামে এক নারী চিকিৎসক নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরের দিকে আত্মহত্যার আগে ওই চিকিৎসক অপর্ণা নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ভালো থাকো। আমি আর পারছি না। হয়তো সবার মতে হেরে গেলাম। মুক্তি দিয়ে গেলাম।’ স্ট্যাটাসটি তিনি এক ব্যক্তিকে ট্যাগ করেছেন। জানা গেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রয়াত রতন বসাক ও জ্যোৎস্না বসাক দম্পতির মেয়ে চিকিৎসক অপর্ণা বসাক। দুই মাস আগে মা জ্যোৎস্না বসাককে নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেন তিনি। তিনি নগরীর প্রান্ত স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বগুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন অপর্ণা।
অপর্ণা বসাকের মা জ্যোৎস্না বসাক আহাজারি করে বলেন, ‘সোমবার রাত ১০টার পর খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন অপর্ণা। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে অপর্ণার ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে এক আত্মীয় অপর্ণার খোঁজ নিতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজন দরজা ভেঙে আগুন নিভিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।’তিনি বলেন, ‘ঘর থেকে পোড়া গন্ধ পেয়ে লোকজনকে ডাকি। কী কারণে মেয়ে এমন করল, বুঝতে পারছি না।’
এই বিষয়ে প্রান্ত স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালের স্বাত্ত্বাধিকারি মশিউর আলম চন্দন বলেন, ‘অপর্ণা বসাক প্রায় এক বছর ধরে আমাদের হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিল। শুনেছি আজ ভোরে সে নগরীর পন্ডিতপাড়া এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেছে। তবে কেন বা কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, আমার জানা নেই। কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে প্রেমের কারণে আত্মহত্যার করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে পরিবার প্রেমের বিষয় নিয়ে কিছু বলছে না। ফেসবুকের স্ট্যাটাসে যে ব্যক্তিকে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে, তাকে খুঁজতে পুলিশ কাজ করছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |