
বান্দরবানে ট্যুরে গিয়ে মারা যান স্মৃতি আক্তার (২৪)। আজ রবিবার স্মৃতির লাশ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে দাফন করা হয়েছে।
সদর ইউনিয়নের ভাটি সাভার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে বৃষ্টির পানির মধ্যে ফসলি জমির পাশেই কবর খুঁড়ে দাফন করা হয়েছে স্মৃতিকে। জানাজা শেষে সবাই চলে যাচ্ছেন।
মা ও ছোট ভাই সিয়াম কিছু দূরে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন। বাবা হাবিবুর রহমান বসতঘরের ভেতর বিলাপ করছেন।
মা রুপিয়া বেগম (৫০) আহাজারি করে বলছেন, ‘আমার মেয়েরে কারা ওখানে বেড়াতে নিয়ে গেল, আমি তো কিছুই জানলাম না। আর কিভাবে মারা গেল।
আমারে তো কেউ কিছু কয় না। আমি কার কাছে বিচার চাইব।’
স্মৃতির মা রুপিয়া বেগম জানান, তার মেয়ে স্মৃতি আক্তার স্থানীয় সমূর্ত জাহান মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে প্যাথলজির ওপর একটি কোর্স করেন। এরপর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্যাথলজিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।
সেখান থেকে কিছুদিন ঢাকায় ও পরে বছরখানেক আগে কুমিল্লায় চলে যান। সেখানের বরুড়া উপজেলার একটি ক্লিনিকে ভালো বেতনে চাকরি করেন। অতি ব্যস্ততায় ঈদে বাড়িতে আসতে পারেননি।
জানা যায়, একটি ফেসবুক গ্রুপ ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা ইসলামের নেতৃত্বে ৩৩ জন পর্যটক আলীকদমের ক্রিসতং পাহাড় এবং থানচির লিমান লিবলু পাহাড় সামিটে যাচ্ছিলেন। তারা দুটি দলে বিভক্ত ছিলেন।
তার মধ্যে ২২ জনের দল বুধবার (১১ জুন) রাতের কোনো এক সময় তৈন খাল পার হচ্ছিলেন। ওই সময় পানিতে তলিয়ে যান স্মৃতি। এ ঘটনায় আলীকদম থানায় ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দলের অনেকের নামে মামলা হয়েছে।
আলী কদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর্জা জহির উদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।