হেড লাইন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিংগাইর উপজেলায় পূর্ব ভাকুম গ্রামে নিজ বাসভবনে নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন বিষয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভা করেছেন তিনি। সভায় মমতাজ বেগম বলেন, আমাদের ওপর কেউ আঘাত করলে বসে থাকব না। আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না। আমাদের জানমাল রক্ষার্থে সবাই একত্রে হয়ে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, আর দশটা মেয়ের মতো আমি না। এই জনগণের জন্য জেল খাটতেও রাজি আছি। আমার যদি মোকাবিলা করতে হয়, আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজপথে থেকে মোকাবিলা করব। জেল-জুলম অত্যাচার কোনো কিছু আমাকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমি কিন্তু ভয় পেয়ে ঘরের কোণে বসে থাকার মেয়ে না। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব চষে বেড়ানো মেয়ে আমি। আপনাদের সাথে আছি। আপনারা ভয় পাবেন না।
মমতাজ বলেন, নির্বাচনের আগের দিন থেকে তারা (স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলু) আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা করছে। প্রতিনিয়ত সদ্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর অনুসারীরা কোন কোন বাড়ি গিয়ে হামলা করছে, ককটেল বিস্ফোরণ করছে এবং মেয়েদেরকেও তারা রেহাই দিচ্ছে না, বউ-মেয়েদের মারধর করছে। এ পর্যন্ত আমার প্রায় ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে। এসব বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও আশানুরূপ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবশ্যই নির্বাচন সুষ্ঠু-সুন্দর হয়েছে। কিন্তু তারা (স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলু) কালো টাকা দিয়ে দু-তিনটা ইউনিয়নের বিএনপির ভোট কিনে এবং প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তিদের ভোট নিজেরা মেরেছে। সিংগাইরের বায়রা, বলধারা ও পৌরসভার একটা অংশের ভোটকেন্দ্রে তারা কারচুপি করে বেশি ভোট দেখিয়েছে এবং এই অস্বাভাবিক ভোটের কারণে সব জয়গায় আমি বেশি ভোট পাওয়ার পরও আমাকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিষয়ে মমতাজ বলেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনে লাঙ্গলের নির্বাচনী সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন কাজ করেছেন। অথচ আমার নৌকা প্রতীকের হয়ে অনেকবার অনুরোধ করার পরও তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করেন নাই। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও অবগত আছেন। দলই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেবে। এই কর্মীসভায় দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (সদ্য পদত্যাগ করা) মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলের প্রতিনিধিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |