প্রচ্ছদ সারাদেশ আমাকে ৫ বছর সময় দেন এই দেশের পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থাকে আমি পরিবর্তন...

আমাকে ৫ বছর সময় দেন এই দেশের পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থাকে আমি পরিবর্তন করে দিব ইনশাআল্লাহ

দেশজুড়ে: আমাকে ৫ বছর সময় দেন এই দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমি পরিবর্তন করে দিব ইনশাআল্লাহ। প্লে থেকে মার্স্টাস পর্যন্ত এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করব যে আমাদের সন্তানরা আমাদের ছেলে মেয়েরা ইংলিশ-গণিত এই জেনারেল বইগুলোর সাথে কোরআন এবং হাদিসের একট অপূর্ব সমন্বয়ে পড়াশোনা করবে,

যে একদিক দিয়ে সে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার ও হবে এবং অন্যদিকে সে ইমামতি করার ও যোগ্যতা রাখবে। একা করে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমাকে ১০০ জন শিক্ষাবিদ দেন ১০০ জন আলেম উলামা দেন একটা পেনেল করে দেন পুরো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পাল্টে দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। যাদেরকে রেখেছেন এদের মাথায় গুবর আছে, টাটকা গুবর আছে।

বই পত্রগুলোর অবস্থা দেখেছেন ? বই পত্রগুলো ঘাটাঘাটি করেছেন ? সমকামীতা প্রমট করছে আমাদের দেশের মধ্যে, ট্রান্সজেন্ডার প্রমট করছে আমাদের দেশের মধ্যে ! আমাদের বাচ্চা-কাচ্চা ছোট ছোট কচি-কাচা বাচ্চাদেরকে শারিরীক শিক্ষার নামে যৌন শিক্ষা দিচ্ছে ! এগুলো কি আমাদের মোসলমানদের শিক্ষা ?

এরকম চলতে থাকলে দেখবেন অচিরেই মানুষ আর তাদের সন্তানদেরকে আর স্কুলে পাঠাবে না। এটা অরুচি ধরে যাবে, তখন কী হবে ? কোটি কোটি স্কুল-কলেজ খালি পড়ে থাকবে, কেউ তার সন্তানকে আর পাঠাবেনা ঐইখানে। তখন মাদরাসার দিকে মানুষ ঝুকবে আরো বেশি। আমিতো চাই, আমি দাবি জানাই যে উপর থেকে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হোক, যাতে করে আমাদের মাদরাসা গড়ার প্রয়োজন না পড়ে। ঐই ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় ভাবেই করানো হবে ইনশাআল্লাহ।

আপনি মালেশিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখেন, লেবাননকে দেখেন, জর্ডানকে দেখেন, কাতার কে দেখেন, আরব দেশের দিকে দেখেন, আরো অনেক দেশ আছে, এমনকি পশ্চিমা দেশ গুলোতেও আছে, একদম উপরের লেবেল থেকে ইসলামী সিলেবাস প্রনয়ন করা হয়েছে। এতে তাদের যে শিশুরা আছে তাদের শিশুরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও হচ্ছে ।

তার মানে এই না যে তারা সায়েন্স কে গুরুত্ব দেয় নাই, গণিত কে গুরুত্ব দেয় নাই, পদার্থ , রসায়ন, ইকোনমিসকে গুরুত্ব দেয় নাই, বিষয়টা এমন না, তারা ফিলোছফি পর্যন্ত পড়িয়েছে। এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব প্লে থেকে নিয়ে মার্স্টাস পর্যন্ত যে আমাদের ছেলেরা ইমামতিও করবে এদিকে বিমান ও উড়াবে ইনশাআল্লাহ।

আমার মেয়েরা ডাক্তারও হবে, এইদিকে হাফেজাও হবে ইনশাআল্লাহ। একজন আর্মি অফিসার তিনি যেমন সামরিক ক্ষেত্রে লিডার হবেন, তেমনি দেখবেন ফিকহ এর কিতাব ঘাটাঘাটি করে ফতোয়া ও দিতে পারছেন ইনশাআল্লাহ। এই যুগটা স্বপ্নের যুগ নয়। এই যুগটা একসময় ছিলো আজ থেকে ২০০-৩০০ বছর আগে, মসলমানরা এই যুগ পাড় করে এসেছে। এগুলো কোনো গল্প বলছিনা এগুলো বাস্তবে রুপান্তর করা অবশ্যই সম্ভব, যদি কিছু মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা থাকে, সাহস থাকে, আমাদের উপর থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা আসে, এবং আমাদের মতো যারা ইয়াং জেনারেশন তাদেরকে যদি মূল্যায়ন করা হয় দেখবেন বাংলার জমিন পরিবর্তন হয়ে গেছে ইনশাআল্লাহ। এই পরিবর্তন হলে দেশের জন্য খারাপির কিছু নাই। রাষ্ট্র্র পিছিয়ে যাবে না, রাষ্ট্র আরো এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আরো ব্যাপার আছে, আপনি মালেশিয়ার একটা ১০ম শ্রেণির বাচ্চার দিকে তাকান, ১০ম শ্রেণির একটা বাচ্চা কোনোদিন মাদরাসায় যায়ে-ই নাই, কিন্ডার গার্ডেনে পরেছে, রাষ্ট্রীয় সিলেবাসে পরেছে, মাত্র ১০-১২ বছর পড়াশোনা করে ও এইদিকে “এস এস সি” “এইচএসসি” লেবেলে ও চলেনগেছে, এদিকে সে ইমামতি করার ও যোগ্যতা রেখেছে। তাহলে ঐই রাষ্ট্রটা কি পিছিয়ে গেছে ? অতএব এই শিক্ষার ব্যাপারে আমাদের অনেক মনযোগি হতে হবে। আমরা এখন ‍যদি এগুলোর বিরুদ্ধে কথা না বলি, গঠন মূলক ব্যবস্থা না নেই এবং আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানকে না বোঝাই তাহলে অচিরেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার এমন অবস্থা হবে যে দেখা যাবে স্কুল কলেজ খালী পরে আছে কেউ আর তার সন্তানদেরকে আর স্কুল-কলেজে পাঠাচ্ছেনা।

আজকে থেকে ২০-৩০ বছর আগে ইহুলি খিষ্ট্রানরা পরিকল্পনা করেছিলো এই টিকটক প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য, তারা আজকে সফল হয়েছে। আমরা যদি এখনো চুপ করে থাকি আগামী ২০ বছর পর দেখবেন এমন একটা প্রজন্ম আসবে, এরা মানুষকে সালাম পর্যন্ত দিবে না।

এখনই দেখেন কয়জন বাসায় গিয়ে বাবা-মাকে সালাম দেয় ? কারণ কোনো প্রতিষ্টান তাকে সালাম দেওয়া শেখায় নাই। আমরা এগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছিনা, এমন প্রজন্ম গড়ে উটেছে অলরেডি যারা পিতা মাথাকে সালাম দেয় না, পিতা-মাথার সাথে জগরা করে, তাদের গায়ে হাত তোলে। ঐইদিক থেকে সে মাস্টার্স ডিগ্রি পাস করে এসেছে, এসে প্রফেসার হয়েছে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের, বাবা-মা পরে আছে বিদ্ধাশ্রমে!

আর অর্থনীতির কথা যদি বলি, অর্থনীতি বাহিরের চোখ দিয়ে দেখলে মনে হয় অনেক এগিয়ে গেছে কিন্তু ভিতরের চোখ দিয়ে দেখেন, দেখবেন অর্থনীতি শুধ দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতি শুধ ভিত্তিক, আর এই শুধ ভিত্তিক অর্থনীতিতে থেকে কোনো বেসরকারী ব্যাংক পর্যন্ত একশ পার্সেন্ট শুধ মুক্ত সিষ্টেম দিতে পারবে না।

আর এর উপর আবার আছে ঘুষ, তার উপরে আছে দূর্নীতি, তার উপরে আছে আপনার আমার মাপে কম দিচ্ছেন, তার উপর আবার পণ্য মজুদ করছেন, মার্কেটে ইচ্ছাকৃত ভাবে দাম বাড়ায় দিচ্ছেন এই কাজগুলো করছেন।

তো বাহিরে থেকে মনে হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। বাহ্যিক ভাবে উন্নত, চাঁদে যাচ্ছি মঙ্গলে যাচ্ছি, এগুলো হলো হলো বাহ্যিক উন্নতি। আদতে দেখেন কোনো নিতি নাই, কোনো নৈতিকতা নাই, চারিত্রিক গুণ নাই, সালাম-কালাম নাই, কোনো ধর্ম বিরুতা নাই, আমানত দারিতা নাই, চারিত্রিক কোনো গুণ ও নাই, সংস্কৃতির কথা যদি বলি সুস্থ কোনো সংস্কৃতিই নাই, সংস্কৃতির নামে নোংরামি বেহায়া পনা করা হয় এখন স্কুল এবং কলেজে। আসলে আমাদের ছেলে মেয়েরা শিখবেটা কি ? বই গুলো থেকে পড়াশোনা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাহলে অরা কি শিখবে।

দেখেন একজন ডাক্তার সে মাসাআল্লাহ ডাক্তার হয়েছে, ডাক্তার হয়ে সে কশাই হয়ে গেলো ? তাহলে কোন শিক্ষার গাঠতি হলো ? উঃ নিতি-নৈইতিকতার, ইসলামের, ঐইযে পরকালীন কোনো চেতনা নাই। একজন ইঞ্জিনিয়ার সে মোটা মোটি সবই বুঝে, সবকিছুই পড়ে শেষ, কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার হয়ে আপনি চুর হয়ে গেলেন, তাহলে কোন শিক্ষার গাঠতি হলো ?

একজন মেয়েকে দেখছেন যে সে পড়ালেখা করে অনেক এগিয়ে গেছে, অনেক দায়িত্ব পালন করছে, আদতে তার গয়ে কোনো সালিন পোশাক নাই, সে গের্ন্জি পড়ে আর জিন্স পড়ে গোড়ে বেড়াচ্ছে রাস্তা ঘাটে, তার মধ্যে কোনো শালিনতা নেই ভদ্রতা নেই সে তার পর্দা মেনটেইন করতে পারছে না, তাহলে কোন শিক্ষার গাঠতি হলো ? একটা ছেলেকে দেখছেন সে বাহির থেকে পড়াশোনা করে আসলো এসে এখানে সে র্ট্রান্সজেন্ডার হয়ে গেলো। ছেলে-মেয়েদের দেখবেন ডিগ্রি অর্জন করতেছে কিন্তু মাধক ছারতে পাড়ছে না, যেনা ছারতে পাড়ছে না, সমকামীতা ছারতে পারছে না, তাহলে কোন শিক্ষার গাঠতি হলো ? কোন শিক্ষাটাই বা তারা অর্জন করলো।

আমি বলছিনা যে শিক্ষা অর্জন করা ভোল, আমি শুধু এইটা বোঝাতে চাচ্ছি যে আমরা যে শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিক্ষা অর্জন করছি, যেই ট্রেকে আমরা যাচ্ছি সেই শিক্ষা ব্যাবস্থা ভুল এবং সেই ট্রেকটা ভূল। এখন তো শুধু শিক্ষা ব্যাবস্থায়ই না এখন তো বই এ মধ্যেও পরিবর্তন চলে আসছে। বই এর মাধ্যমে সমকামীতাকে প্রমোট করা হচ্ছে, আর কি দেখার বাকি আছে।

অতএব আমি দাবি জানাই যে এই শিক্ষা ব্যাবস্থাকে পরিবর্তন করে এমন শিক্ষা ব্যাবস্থা চালো করা হোগ যে (জেনারেল শিক্ষা + কোরআন হাদিসের শিক্ষা ) এই দুইটা শিক্ষার সমন্বয়ে এমন শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করা হোক যাতে করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় এবং তারা ইমামতি করার যুগ্যতা অর্জন করে। এর পাশাপাশি তারা ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে জানবে, সুস্থ রাজনীতি জানবে, ইকোনমি বোঝবে এমন দ্বিমূখী শিক্ষা চালু করা হোক যাতে করে সে কোরআন দিয়ে সায়েন্স এবং সায়েন্স দিয়ে কোরআনকে বর্ণনা করতে পাড়ে । তারা যাতে করে নৈইতিকতা শিখতে পাড়ে, সম্মান দেওয়া এবং নেওয়া শিখতে পারে, এই শিক্ষা ব্যাবস্থা যদি চালো করা হয় তাহলে আমাদের দেশের মধ্যে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব । আর এই ব্যাবস্থা ‍যদি চালু না ও হয় তাহলে আমরা যারা বাবা- মায়েরা আছি আমরা নিজেরা নিজেদের উদ্যুগে যেনো পারসোনালী ছেলে-মেয়েদের জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি যেনো ইসলামীক শিক্ষা অর্জন করার ব্যাবস্থা করে দিতে পাড়ি, এই উদ্যুগ যেনো আমরা নিতে পারি । আল্লাহপাক আমাদের সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ ।

জনগণের মধ্যথেকে আমি শাহ সাইফুর রহমান আমি আমার এই দবি জানালাম, আপনারা ও আপনাদের দাবি জানিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।