বাংলাদেশ: গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। তার আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
নির্দেশ অনুযায়ী আজ বুধবার আদালতে হাজির হন নুরুল হক নুর। তার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। এদিন শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রুল দিয়েছেন। তাকে (নূরুল হক) হাজির হতে বলা হয়েছিল। তিনি হাজির হয়েছেন।’ আদালত বলেন, ‘রুলে তার বক্তব্যের কিছু অংশ কোটেশন আকারে আছে, দেখেছেন?’ এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মিসকোট করা হয়েছে, কিছু অসংগতি আছে। প্রতিবেদনে যে ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে, সেভাবে নয়। কনটেক্সটের (বক্তব্যের) বাইরে লিখেছে। প্রতিষ্ঠানকে (বিচার বিভাগ) টাচ করার ইনটেনশন ছিল না। ব্যাখ্যায় আমরা প্রকৃত বক্তব্য তুলে ধরব। আশা করি আপনারা অখুশি হবেন না।’
আদালত বলেন, ‘আমরাও চাই ভিন্ন হোক। কিন্তু এভাবে হলে তো বিচারব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। উনারা রাজনৈতিক নেতা। ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। আমরাও দেখতে চাই প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে।’ এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘একদিন আপনিও থাকবেন না, আমিও থাকব না। এই প্রতিষ্ঠান (আদালত) থাকবে।’ আদালত বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব বেশি। রাজনীতিবিদ এমন কিছু বলবে না, যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।’ এ সময় জবাব দিতে তিন সপ্তাহ সময় আবেদন করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে আদালত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় নুরুল হককে আবারও আদালতে হাজির হতে বলা হয়। এর আগে বিচারকদের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নুরুল হক নুরকে গত ১৭ ডিসেম্বর তলব করেন হাইকোর্ট। আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ১৭ জানুয়ারি তাকে হাজির হতে বলা হয়। সে অনুযায়ী হাজির হন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |