অপরাধ: তিন বছর আগে শিশু আবদুল্লাহকে ফেলে তার মা ফারজানা পালিয়ে যায় প্রেমিকের হাত ধরে। শিশু আবদুল্লাহকে দেখাশোনার জন্য পরে বাবা আমানুল্লাহ বিয়ে করেন লিজা আক্তার নামে অন্য এক নারীকে। সেই সৎ মা লিজা আক্তারের হাতেই প্রাণ গেল অবুঝ শিশু আবদুল্লাহর।
ঘটনাটি শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউছুফপুর গ্রামে ঘটে। এঘটনায় অভিযুক্ত সৎ মা লিজা আক্তারকে আটক করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আবদুল্লাহকে হত্যার বিষয়টি সৎ মা লিজা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে শিশু আবদুল্লাহ তার সৎ মায়ের কাছে পানি চায়। এতে শিশুটির ওপর বিরক্ত হয়ে এক পর্যায়ে তাকে ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে লিজা আক্তার। স্থানীয়রা খবর পেয়ে শিশুটিকে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে, শিশু আবদুল্লাহর পিতা আমানুল্লাহ বাদী হয়ে অভিযুক্ত স্ত্রীর নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইউছুফপুর ইউনিয়ন সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান, ‘আমরা এসে দেখছি শিশুটি মৃত পড়ে আছে দরজার সামনে। শুনেছি সৎ মা নাকি তাকে মেরে ফেলেছে।’
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া জানান, ‘ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ মা লিজা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |