প্রচ্ছদ হেড লাইন আন্দোলনকারীদেরকে লালা সালাম ছাত্রলীগকে ধিক্কার- কলকাতা

আন্দোলনকারীদেরকে লালা সালাম ছাত্রলীগকে ধিক্কার- কলকাতা

এবার কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে উত্তাল কলকাতা। আন্দোলনকারীদেরকে লালা সালাম ছাত্রলীগকে ধিক্কার! স্লোগান।

আরোও পড়ুন: টাঙ্গাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ-সাংবাদিক, আন্দোলনকারীসহ কমপক্ষে অর্ধশত আহত হয়েছেন। এ সময় দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি। ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করতে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীরা জড়ো হন। পরে নানা ধরনের স্লোগান দিয়ে উত্তাল করে তোলেন।

প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থানের পর আন্দোলনকারীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যাওয়ার সময় শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। এ সময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। তাদের উদ্দেশ্য করে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও রেজিস্ট্রিপাড়া এলাকায় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে এগোতে গেলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাকটেল নিক্ষেপ করে। মুহূর্তে সারা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা সংঘর্ষ ও দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা টাঙ্গাইল শহর দখলে নেন। দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন সড়কে টায়ারে আগুন দেয়। এরপর আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মহড়া দেয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগেরর কার্যালয়ে গিয়ে ভাংচুর করে। বর্তমানে টাঙ্গাইল শহর আন্দোলনকারীদের দখলে রয়েছে। বর্তমানে পুলিশ নীরব ভূমিকায় রয়েছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মহাসড়কের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় মিছিলটি শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে প্রথমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশও আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে। তখন ৩০ থেকে ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর কোনও গুলিবর্ষণ বা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়নি। তবে দুষ্কৃতিকারী ও বহিরাগতরা এসে আন্দোলনে যোগ দিলে পুলিশ তাদের প্রতিহত করেছে। এতে সংঘর্ষে কতজন আহত বা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।