সারাদেশ: এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত মো. সিয়াম হোসেন নেপালে আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার নেপাল পুলিশ তাকে আটক করেছে। এদিকে, আনারের হত্যা মামলা তদন্তে নেপাল যাচ্ছে ডিবির তদন্ত দল। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দলটি ঢাকা ছেড়েছে। এই দলে আছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদসহ তিনজন। নেপাল পুলিশ সিয়াম হোসেনকে আটকের পর থেকেই দেশে ফেরাতে কাজ শুরু হয়েছে। সিয়াম এমপি আনার হত্যার প্রধান মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করত। তাকে পেলে গোয়েন্দারা এমপি হত্যায় অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাবে।
সূত্র জানায়, আনারকে গত ১৩ মে কলকাতায় হত্যার পর লাশ গুম করার ক্ষেত্রে সিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। লাশ গুম করার পরে তিনি সেখান (কলকাতা) থেকে নেপাল চলে যান। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক যোগাযোগও শুরু হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, সিয়ামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। তিনি আক্তারুজ্জামানের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
গত ১২মে চিকিৎসার উদ্দেশ্য কলকাতা যান এমপি আনার। পরেরদিন তিনি নিখোঁজ হন। নয়দিন পর তার তাকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে। এরপরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে বাংলাদেশে এবং একজনকে ভারতে গ্রেপ্তার করা হয়। সবশেষ নেপালে সিয়ামকে আটক করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান মাস্টারমাইন্ড এমপির আনারের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। এরইমধ্যে ভারতের কলকাতার নিউটাউনে বিলাসবহুল যে অ্যাপার্টমেন্টে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানকার সুয়ারেজ লাইন থেকে মাংসের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে, যা এমপি আনারের বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে এমপি হত্যার ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। যার একটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। ডিবির একটি দল এর আগে ভারতে গিয়েছিলো।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |