কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানার মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী নুরের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিত শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন। এদিন তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। প্রথমে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এরপর আদালত আসামির বক্তব্য শুনতে চান।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘রিমান্ডে নিয়ে আমাকে টর্চার করা হয়েছে। আমার হাতে দাগ পড়ে গেছে। আমাকে যদি আবার রিমান্ডে নেওয়া হয় তাহলে জায়গাটা পচে যাবে। আমি মারা যাব। আপনি চাইলে মেডিকেল চেকআপ করে দেখতে পারেন।’
নুরের পক্ষে তার আইনজীবী বলেন, ‘নুরকে ২০ জুলাই রাত ৩টার দিকে বনানী থানার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে ৩৯-৪০ ঘণ্টা গুম করে রাখা হয়। টর্চার করা হয়। পরিবারসহ আমরা সব এজেন্সিতে খবর নিয়েও তার সন্ধান পাইনি। মিডিয়ায় খবর প্রকাশের পর ২১ তারিখ তাকে আদালতে আনা হয়। তারপর পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন আদালত। রিমান্ডে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়। রিমান্ড শেষে পুলিশের কাঁধে করে তাকে আদালতে আনা হয়। ফাঁসির আসামিকেও সুস্থ করে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সে অসুস্থ। আগে সুস্থ হোক, তারপর রিমান্ড দেন।’
এদিন নুরের চিকিৎসা, ডিভিশনের আবেদনও করা হয়। পরে আদালত তার বক্তব্য শোনেন। এরপর আদালত চিকিৎসা, ডিভিশনের আবেদন নথিভুক্ত করেন। এ ছাড়া তার খাওয়ার ব্যবস্থা ও ওষুধ সরবরাহের নির্দেশ দেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |