প্রচ্ছদ অর্থ ও বাণিজ্য আকরিক লোহার দাম বেড়েছে

আকরিক লোহার দাম বেড়েছে

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা ও ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক আরোপ সত্ত্বেও আকরিক লোহার বাজার সপ্তাহজুড়ে লাভের পথে রয়েছে। চীনের অর্থনীতিতে দেখা দেয়া ইতিবাচক ইঙ্গিত এবং শক্তিশালী চাহিদার কারণে এই মূল ইস্পাত উপাদানটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অব্যাহত রয়েছে। খবর বিজনের রেকর্ডার

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) চীনের ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (ডিসিই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া সেপ্টেম্বর ডেলিভারির আকরিক লোহার দাম ০.৮৪ শতাংশ কমে প্রতি মেট্রিক টনে দাঁড়ায় ৭০৫.৫ ইউয়ান (প্রায় ৯৬.৬৯ মার্কিন ডলার)। যদিও দৈনিক হিসাবে এটি কমেছে, তবে সাপ্তাহিক হিসাবে দাম বেড়েছে ০.২ শতাংশ।

সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জেও মে মাসের বেঞ্চমার্ক আকরিক লোহার দাম ০.১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি টন ৯৭.৬৫ ডলার, তবে সাপ্তাহিক লাভ ০.৫ শতাংশ।

এদিকে, বাজারে চাহিদা বাড়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিস্টিলের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, চীনে গড় দৈনিক গরম ধাতু উৎপাদন-যা আকরিক লোহার চাহিদার একটি প্রধান সূচক – ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দাঁড়িয়েছে দিনে ২.৪ মিলিয়ন টনে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অর্থনৈতিক তথ্য এবং বেইজিংয়ের সম্ভাব্য প্রণোদনা প্যাকেজ বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের মতো ট্যারিফজনিত অনিশ্চয়তা এখনও বাজারের জন্য একটি বড় ঝুঁকি হিসেবে রয়ে গেছে।

বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাজারে সরবরাহ উদ্বৃত্ত হতে পারে। এর প্রভাবে ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আকরিক লোহার দাম কমে ৯০ ডলারে এবং ২০২৬ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে আরও কমে ৮০ ডলারে নামতে পারে।

অন্যদিকে, ডিসিইতে অন্যান্য ইস্পাত সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামেও পতন লক্ষ্য করা গেছে। কোকিং কোলের দাম ৩.১৩ শতাংশ ও কোকের দাম ২.০৮ শতাংশ কমেছে।

চীনের শাংহাই ফিউচার এক্সচেঞ্জেও বেশিরভাগ ইস্পাত সূচক নিম্নমুখী। রিবারের দাম কমেছে ০.৫৮ শতাংশ, হট-রোলড কয়েল ও স্টেইনলেস স্টিলের দাম যথাক্রমে ০.৬৬ শতাংশ করে হ্রাস পেয়েছে। তবে ওয়্যার রড একমাত্র পণ্য হিসেবে ০.৫৭ শতাংশ বেড়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও চীনের ঘরোয়া চাহিদা ও সরকারি নীতির ইতিবাচক ভূমিকা আকরিক লোহার বাজারে স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারে।