আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার মাধ্যমে ২০ বছর পর চার হাজার সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে সাদিকুর রহমান খান নামের এক ব্যক্তির একটি পোস্ট শেয়ার করে নিজের এ মন্তব্য জুড়ে দেন হাসনাত।
হাসনাত পোস্টটি শেয়ার করে নিজের মন্তব্যে বলেছেন, ‘কাজেই, এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ হলো, আজ থেকে ২০ বছর পর আমাদের ৪০০০ সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা, কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি।’
আর মূল পোস্ট দাতা সাদিকুর রহমান খান লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইলে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পাবে, এইসব কথার কোনো মানে নাই।
ভুলের ক্ষমা হয়, অপরাধের কোনো ক্ষমা হয় না। অপরাধের হয় শাস্তি। আর যখন সেই অপরাধ একটা দল বারবার করতে থাকে, তখন সেই দলের ক্ষমা কেন, চোখের জলেও বিশ্বাস করার পরিস্থিতি থাকে না।’
তিনি লিখেছেন, ‘হাসিনা তো জুলাই বিপ্লবের আহতদের জন্য কালো চাদর পরেছিলেন, কান্নাকাটি করেছিলেন মানুষের সামনে।
আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আবু সাঈদের ফ্যামিলিকে গণভবনে ডেকেছেন। এরপর? এরপর তিনি তার দুইদিন পর হেলিকপ্টার দিয়ে আরো বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছেন। কাজেই, ওদের ক্ষমার মধ্যে অনুতাপ না, ওদের ক্ষমার মধ্যে থাকে আরো বেশি প্রতিশোধের আগুন।
তিনি আরো লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি কখনো ক্ষমা চায়, জেনে রাইখেন, ওটা মানুষের ভালো করার জন্য ক্ষমা চাওয়া না। বরং মানুষকেও আরো বেশি শাস্তি দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়া। আওয়ামীলীগের প্রতিবার আগের চেয়ে পরের টার্মে নির্যাতন আর ধ্বংসের মাত্রা ছিলো বেশি। কাজেই, এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ হলো, আজ থেকে ২০ বছর পর আমাদের ৪০০০ সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা, কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |