প্রচ্ছদ সারাদেশ অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন দুঃসাহসী ফায়ার ফাইটার সোহাগ!

অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন দুঃসাহসী ফায়ার ফাইটার সোহাগ!

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনের আগুন নেভাতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এমনই একটি ছবি এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে উঁচু মই থেকে পড়ে যাচ্ছেন একজন ফায়ার ফাইটার।

জানা যায়, তার নাম সোহাগ চন্দ্র কর্মকার। তিনি সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ফায়ার ফাইটার। ওই স্টেশনের অফিসার সেলিম রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, সোহাগ ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে মই থেকে পড়ে যাচ্ছিলেন, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। কিছুটা আহত হয়েছিলেন, এখন তিনি স্বাভাবিক আছেন।

সেলিম রেজা বলেন, সোহাগ খুবই সাহসী। ফায়ার সার্ভিসের সব ধরনের কাজে তার ভালো দক্ষতা আছে। এর আগেও আগুনের ঘটনায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সবখানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। সে আমাদের সেরা একজন ফায়ার ফাইটার।

জানতে চাইলে সোহাগ চন্দ্র কর্মকার গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকজনকে উদ্ধারের পর তাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি ভেতরে আরও অনেকেই আটকে আছেন। এই খবরের পর আমরা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন পা পিছলে পড়ে যাচ্ছিলাম। তবে অল্পের জন্য নিচে পড়ে যাইনি। এরপর সেখান থেকে আটকে থাকা অন্যদের উদ্ধার করি।

সোহাগ আরও বলেন, এর আগেও অনেক বড় ঘটনায় কাজ করেছি। কেউ ভেতরে আটকে আছে আমি বাইরে থেকে তা দেখে থেমে থাকতে পারি না। তখন আর কোন পিছুটান থাকে না। তাদের উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। এর মধ্য দিয়ে এক ধরনের তৃপ্তি পাই। কারণ একটা প্রাণ চোখের সামনে ঝড়ে যায় সেটা মেনে নেয়া অনেক কষ্টের।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাত তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

এদিকে শুক্রবার সকালে ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আলামত সংগ্রহে কাজ করছে সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড (নিচতলা) থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তবে শর্টসার্কিট না গ্যাসের কারণে হয়েছে, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এখান থেকে আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে কেমিক্যাল টেস্ট করা হবে। এরপর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।