প্রচ্ছদ হেড লাইন অবুঝ মৌমাছির চাক এসে ঘিরে ধরবে

অবুঝ মৌমাছির চাক এসে ঘিরে ধরবে

হেড লাইন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জানা গেছে, মারধরের শিকার ওই যুবক প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য একের পর এক সামনে আসছে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছেন সেদিন রাতে আসলে কী ঘটেছিল। হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যায় হলে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। এমন সময় হঠাৎ তোফাজ্জল নামে যুবক হলে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা দুপুরে ছয়টি মোবাইল চুরির ঘটনার চোর সন্দেহে মূল ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে তাকে মারধর ও জেরা করতে থাকে। একপর্যায়ে, তাকে নিয়ে হল ক্যানটিনে খাওয়ানো হয়। এরপর এক্সটেনশন ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বুক, পিঠ, হাত ও পায়ে ব্যাপক মারধর করেন একদল শিক্ষার্থী। মারধরের ফলে ওই যুককের পা থেকে রক্ত বের হতে থাকে। এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে ফের মূল ভবনের অতিথিকক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর ১০টার দিকে প্রক্টোরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্যরা এলে মারধরকারীরা তাকে তাদের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে কিছু শিক্ষার্থী ও কয়েকজন হাউস টিউটরের সহায়তায় তাকে প্রথমে শাহবাগ থানায় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমানের একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সেই পোস্টটি পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরা হল-

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কেন আন্দোলনের শুরুতে যুক্ত ছিল। এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গেলে অবুঝ মৌমাছির চাক এসে ঘিরে ধরবে।
আন্দোলনের মাঝে কেন ৬ সমন্বয়ক আইনমন্ত্রীর সাথে আপোষ করেছিল তা বললেও অবুঝ মৌমাছির চাক এসে ঘিরে ধরবে।

আবার আন্দোলন শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে কেন ছাত্রলীগ জায়গা পাচ্ছে তা বললেও অবুঝ মৌমাছির চাক এসে ঘিরে ধরবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ কেন শ্রমিক লীগ নেতার বাসায় দাওয়াত নিল, রাত্রী যাপন করল জেলা সফরে গিয়ে তা বললেও অবুঝ মৌমাছির চাক এসে ঘিরে ধরবে।

এবার খুজে নিন কেন, কেন সার্জিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ রা দীর্ঘ ১৬ বছর নিপীড়নের শিকার রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের নব্য ফ্যাসিবাদ বলছে। তদের প্রতিরোধ করতে বলছে।

ফ্যাসিবাদের পালক পুত্ররা ফ্যাসিবাদ থেকে দৃষ্টি সড়াতে নব্য ফ্যাসিবাদ বয়ান প্রস্তত করছে। আর হাসিনার রেখে যাওয়া মিডিয়া তা প্রচার করছে।