প্রচ্ছদ জাতীয় অবশেষে মুখ খুললেন ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত মতিউরের স্ত্রী লাকী

অবশেষে মুখ খুললেন ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত মতিউরের স্ত্রী লাকী

‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি, সব থেমে যাবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। তবে খবরটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন লাকী​​​

এ ঘটনার সাত দিন পর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের নিজ কক্ষে স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের ডেকে খবরটি মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

এ সময় তার দেওয়া বক্তব্যের ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে লাকীর সমর্থিত কিছু নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।

লায়লা কানিজ লাকী বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আমি অফিসে এসেছিলাম। অফিসের কাজকর্ম শেষ করে যথারীতি কারো সঙ্গে কোনো বাক্য বিনিময় না করে পরিষদ থেকে সোজা নিজ গাড়িতে অফিস ত্যাগ করি। কিন্তু সেদিন কে বা কারা সাংবাদিক ভাইদের একটা ভুল তথ্য দিয়েছেন যে, আমি ঢাকার সব বড় বড় সাংবাদিকদেরকে ম্যানেজ করেই এখানে এসেছি। এটা আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এ রকম কথা আমি বলিনি।

লায়লা কানিজ লাকী আরও বলেন, যারা মিডিয়াকর্মী ও সাংবাদিকদেরকে এ রকম ভুল তথ্য দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে আপনারা সত্য তথ্য নিয়ে উপস্থাপন করবেন। আপনারা সমাজের দর্পণ। আমি আশা করব আপনারা সত্যটা প্রকাশ করবেন। আমি সবাইকে আবার বলছি আমি এ কথাটা বলি নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা ছিল।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী ছাগলকাণ্ডের ঘটনার দুই সপ্তাহ পর উপজেলা পরিষদে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে দুটি সভায় অংশ নেন তিনি। সভা শেষে তিনি ওই দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই চলে যান।

সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের চাকরি ছেড়ে ২০২২ সালে রাজনীতিতে এসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান হন লায়লা কানিজ লাকী। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ছাগলকাণ্ডের পর তার নামে থাকা সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লায়লা কানিজের বাবা কফিল উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন একজন খাদ্য কর্মকর্তা