প্রচ্ছদ ধর্ম ও জীবন ৪ মাসে হাতে কোরআন লিখলেন মাদ্রাসাছাত্র সেলিম

৪ মাসে হাতে কোরআন লিখলেন মাদ্রাসাছাত্র সেলিম

ধর্ম ও জীবন: ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন মাজিদের ৩০ পারার এই কুরআন মাত্র ৪ মাসে হাতে লিখে সম্পূর্ণ করেছেন নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রমত্তর গ্রামের ইমান আলীর ছেলে সেলিম উদ্দিন (২০)। জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ অসুরখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জামে মসজিদে খাদেম হিসেবে কর্মরত আছেন সেলিম উদ্দিন। টানা চার মাসের প্রচেষ্টায় মসজিদের ভেতরে বসেই ইসলাম ধর্মের এ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হাতে লিখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি পাশ্ববর্তী দারউলুম মাদ্রাসার ছাত্র। কয়েকটি কপি করে বাঁধাই করে রেখেছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য।

হাতে কোরআন লেখার ইচ্ছা কেন হলো প্রশ্নের জবাবে সেলিম জানান, ‘ছোটবেলায় তার হাতের লেখা একেবারেই ভালো ছিল না। এজন্য তাকে মাদরাসার হুজুরেরা অনেক সময় বকেছেন তাকে। মায়ের হাতে পিটুনিও খেতে হয়েছে তাকে। এক সময় হুট করেই সিদ্ধান্ত নেন পবিত্র কোরআন হাতে লিখবেন। সেই মসজিদের খাদেমের পারিশ্রমিকের কিছু টাকা জমিয়ে খাতা কলম কিনে তিনি কুরআন মাজিদের কপি দেখে লেখা শুরু করেন মসজিদের ভেতরে বসেই। টানা চার মাস পর লেখা সম্পূর্ণ হয়।’

স্থানীয়রা বলেন, ‘লেখা শেষ করে তার মাদ্রাসাসহ পরিচিত হুজুরদের কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে, তারা প্রথমে বিশ্বাস করেননি যে সত্যি সত্যি পুরো পবিত্র কোরআন হাতে লিখেছেন এবং তা পড়া যাবে। সেলিম তাদের তখন এসে দেখে যেতে বলেন। বাসায় এসে তারা তা দেখে জানান, একেবারে হুবহু হয়েছে। সেলিমের হাতে লেখা কোরআন পড়া যাচ্ছে। তাকে সবাই সাধুবাদ জানায়।’

সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি পবিত্র কোরআন হাতে লিখেছি নিজের ভালো লাগা থেকে। এই পবিত্র কোরআনের কপি আমি কখনোই বিক্রি করব না। আমি আলোচনায় আসার জন্য হাতে পবিত্র কোরআন লিখিনি। তবে এখন ভাবি, আমার এ কাজ দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতেও পারে। আর হাতে লেখা পবিত্র কোরআনটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে আমি যখন থাকব না তখনও আমার এ কাজ মানুষের কাছে সংরক্ষিত থাকবে। পবিত্র কোরআন মাজিদ যদি কেউ পড়েন তবেই আমার কষ্ট সার্থক হবে।’

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।