রাজনীতি: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন ভিক্ষার সিট (আসন) নিয়ে তারা নির্বাচন করবেন না। (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বিক্ষোভ করেছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। তারা ‘দালালি না রাজপথ’, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, বর্জন বর্জন’ স্লোগান দিয়েছিলেন । ‘ভিক্ষার সিট আমি নেব না।’ এ কথা বলে তিনি তার কক্ষে চলে যান। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদেরকে ভোটে নিয়ে এসে কোরবানি দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয় কি-না সেটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।”
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে অনেক নাটকীয়তা, দেনদরবারের পর ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছিল জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। আর এবার দলের প্রার্থী ছিল ২৬৫টি আসনে। তবে শেষ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া ২৬ আসনের ১১টিতে জিততে পেরেছেন জাপার প্রার্থীরা। সমঝোতার বাইরে কোনো প্রার্থী জিততে পারেননি।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় এবার ঢাকায় একটি মাত্র আসন (ঢাকা-১৮) পায় জাপা। রাজধানীর উত্তরা, খিলক্ষেত, তুরাগ, উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার এ আসনে নির্বাচনে লড়েছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের।
তবে শেরীফা কাদের জামানত হারিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরীর কাছে হেরেছেন তিনি। খসরু চৌধুরী নিপা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচন করে জাপা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপাকে দেওয়া হয়েছিল ৩৩টি আসন। সেবার মন্ত্রিসভায় থেকে বিরোধী দলেরও ভূমিকা পালন করে দলটি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সমঝোতায় জাপা পায় ২৩টি আসন। এবার গতবারের অর্ধেকের কম আসন পেল তারা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |