
কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দুটি আসনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী দেওয়ায় এলাকাবাসী উচ্ছ্বসিত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক এবং কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে (ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রাম) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে প্রার্থী ঘোষণা করায় এলাকাবাসী চমক দেখছে। তাদের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মেতে ওঠেন। আনন্দ মিছিলের পাশাপাশি তারা পরস্পরকে মিষ্টিমুখ করান।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে ড. ওসমান ফারুক দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের অক্টোবরে তিনি দেশে এসেছিলেন। এ সময় কিশোরগঞ্জে তাকে নজিরবিহীন গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আগামী ৬ নভেম্বর সপরিবারে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ড. ওসমান ফারুক শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগে একই আসন থেকে তার বাবা বিখ্যাত মৃৎবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম এ গণি নির্বাচিত হন। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ২০০৮ ও ২০১৮ সালে বিএনপি প্রার্থী হিসাবে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে তিনি জয়ী হতে পারেননি। হামলা ও নির্যাতনের মুখে এলাকায় সভা-সমাবেশ এমনকি গণসংযোগও তিনি করতে পারেননি। বিনা অপরাধে তার অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কারাগারে পাঠানো হয়। সভা-সমাবেশে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদেরও সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন।
এ কারণে তার দলীয় সব পদপদবি স্থগিত করে বিএনপি। ড. ওসমান ফারুক বিদেশে থাকায় এবং ফজলুর রহমানের পদপদবি স্থগিত থাকায় দুটি আসনে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা দলীয় মনোনয়নের জন্য মাঠে সরব হয়েছিলেন। এছাড়া কিশোরগঞ্জ-২ আসনে (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে (ভৈরব-কুলিয়ারচর) শরীফুল আলম বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে কিশোরগঞ্জ-১ আসন (সদর-হোসেনপুর) ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপি মনোনয়ন না দেওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মন খারাপ হয়েছে। এ দুটি আসন জোটের শরিক দলের প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় বিএনপি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী ও তাদের অনুসারী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মন খারাপ হয়েছে।
সূত্র : যুগান্তর











































