
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সোমবার রাতে জানান যে তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। কিন্তু এই ভিডিওটি পুরোনো।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, ভিডিওটি পুরোনো এবং বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকে দাবি করছেন যে, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে দেখা গেছে এবং তিনি নাকি দেশে ফিরছেন।
দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, ভিডিওটি আসলে চলতি বছরের জুন মাসের। সে সময় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে পৌঁছালে তিনি তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যান। ভিডিওটি সেই সময়কার মুহূর্তেরই দৃশ্য।
এদিকে মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান লেখেন, ‘বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি লেখেন, ‘বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে। দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস।’
তারেক জিয়া আরও লেখেন, ‘মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।’
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। ২৩ নভেম্বর জরুরি ভিত্তিতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সঙ্গে আরও কিছু জটিলতা রয়েছে।
গত কয়েক দিনে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ–সমমানের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়। পরে রোববার ভোরে সেখান থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।












































