জাতীয়: দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার বিষয়টি অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি । পরে পুলিশ আসলে আমি ঢাল হয়ে শামীমকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিই। সেসময় আনুমানিক ৮টা বাজে। সেসময় শামীম আমাদের ঘাড়ে ভর দিয়ে হেঁটে হেঁটে গাড়িতে উঠে বসে। পরে রাত ১০টার পর পুলিশ শামীম মোল্লার মৃত্যুর খবর দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের দূরত্ব তো খুব বেশি নয়। এই দুই ঘণ্টা শামীম কোথায় ছিল সেটা তদন্ত করে দেখা দরকার।’
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ক্যাডার শামীম মোল্লা ওরফে শ্যুটার শামীমকে গত বুধবার বিকেলে প্রান্তিক গেইটে আটক করে ছাত্র-জনতা। পরে সেখান থেকে নিরাপত্তা শাখার হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে দুই দফায় সেখানে মারধর করা হয়। এসময় সাবেক ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সেখানে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হামলায় জড়িত থাকার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদি ইকবালসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন। পরে রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শামীমকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। শামীমকে নিতে আসে আশুলিয়া থানার এস আই অলক কুমার দে-সহ কয়েকজন পুলিশ কন্সটেবল।
সেসময় এস আই অলক কুমার দে বলেন, শামীমের নামে চারটি মামলা রয়েছে । হত্যা, মাদক,অস্ত্র মামলা রয়েছে। আমরা তাকে চারমা মলায় গ্রেফতার দেখাবো।
প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম আরো বলেন, অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে আশঙ্কাজনক মনে হয়নি। এমনকি তিনি নিজে হেঁটে পুলিশের গাড়িতে উঠেছেন। এরকম আসামিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করার বিষয়টি রহস্যজনক।
এ ব্যাপারে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান।
সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশ ও নিরাপত্তা শাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। আশা করি সত্য উদঘাটিত হবে।’
সূত্র : বিডি২৪লাইভ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |