প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ স্বামীকে মেরে ফেলো, তারপর না হয় তোমার কাছে চলে আসবো

স্বামীকে মেরে ফেলো, তারপর না হয় তোমার কাছে চলে আসবো

অপরাধ: ‘তুমি আমার কাছে আসতে চাইলে আমাকে কী করতে হবে? তোমার স্বামীকে মেরে ফেললে হবে? সাহস থাকলে আমার স্বামীকে মেরে ফেলো, তারপর না হয় আমি তোমার কাছে চলে আসবো। অন্যথায় আমি কীভাবে আসবো?’

স্বামী আলমগীরকে হত্যার আগে এসব কথোপকথন হয়েছিল গৃহবধূ রোমানা আক্তার (১৯) ও সাবেক প্রেমিক সাকিবের মধ্যে। জানা গেছে, মেরে ফেলার সম্মতি পেয়ে পরকীয়া প্রেমিক সাকিব রোমানার স্বামী আলমগীরকে হত্যার নেশায় মত্ত হয়ে ওঠেন।

আলমগীরকে অনুসরণ করতে শুরু করেন সাকিব। গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের হায়দার আলী জামে মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় আলমগীরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান সাকিব। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুরো উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

আলমগীরের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তার সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল না। রাজনীতির সঙ্গেও তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুরুতে ছিনতাইকারীরা তাকে মেরেছে এমন কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও আলমগীরের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা, মোবাইল অক্ষত থাকার খবরে তা দূর হয়ে যায়।

পরে পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করলে আলমগীরের স্ত্রীকে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ২৭ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় রোমানা পুলিশের কাছে স্বামী হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দেন।

গৃহবধূ রোমানা আক্তার জানান, ৭-৮ মাস আগে সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয় কিন্তু এসএসসিতে ফেল করায় পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বামী আলমগীর তাকে স্মার্টফোন কিনে দিলে সেটি দিয়ে পুরোনো প্রেমিক সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। একসময় সাকিব রোমানাকে তার কাছে চলে যেতে বললে রোমানা বলেন, ‘কীভাবে যাবো, আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে।’ তখনই তাদের মধ্যে আলমগীরকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, আলমগীরকে হত্যার পর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রোমানা আক্তার। আর ঘটনার কিছু আলামতে আমাদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে তাকে আমরা আটক করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।