অপরাধ: রাজধানীর দক্ষিণখানে স্ত্রীকে হত্যার পর আঙিনায় মাটিচাপা দিয়ে কানাডায় পালানো প্রবাসী আশরাফুল আলমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। গত ২৪ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দাখিলের কথা জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দক্ষিণখান থানার এসআই মোছা. রেজিয়া খাতুন।
চলতি বছরের ২৬ মে স্ত্রী আফরোজাকে হত্যার পর কৌশলে কানাডায় পালিয়ে যান আশরাফুল। সেখান থেকে এ হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রেজিয়া জানিয়েছিলেন, আশরাফুল তাকে ১৫ লাখ টাকাসহ পরিবারের দুই সদস্যকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আফরোজার শ্বশুর শামছুদ্দিন আহমেদ, দেবর সজীব আলম, সজীবের স্ত্রী তাহমিনা বাশার ও খালাশাশুড়ি পান্না চৌধুরী। গত ২৪ ডিসেম্বর আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান। এ ছাড়া প্রধান আসামি আশরাফুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি পান্না চৌধুরী এ হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জানিয়েছেন, আফরোজাকে হত্যার পর লাশ বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দিয়ে কানাডায় চলে যান আশরাফুল। পরে পান্না চৌধুরীর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে আশরাফুলের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আশরাফুল তখন বঁটির কোপে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং তা ধামাচাপা দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে লোভনীয় প্রস্তাব দেন। স্ত্রীর লাশ মাটিচাপা দিতে অন্য আসামিরা তাকে সহযোগিতা করেন। আশরাফুল ভিডিওকলে থাকা অবস্থায় বাকি আসামিরা তদন্ত কর্মকর্তাকে লাশের অবস্থান দেখিয়ে দেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রেজিয়া খাতুন কালবেলাকে বলেন, ‘প্রধান আসামি লোভনীয় অফার দিয়েছিল। তখন কৌশল হিসেবে তার অফারে রাজি হয়ে যাই। পরে এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি।’
বোন হত্যার ঘটনায় গত ১ জুন আফরোজার ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় মামলা করেন। আরিফুল কালবেলাকে বলেন, ‘আমার বোন কানাডায় চাকরি করতেন। ২০২২ সালে আশরাফুলের সঙ্গে তার পরিচয়। পরে তারা বিয়ে করেন। আশরাফুল সবার সঙ্গে খুবই ভালো আচরণ করত। সে তাকে হত্যা করবে কেউ ভাবতে পারিনি।
আশরাফুল পরিকল্পিতভাবে সবকিছু করেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই সে দেশ ছেড়ে গেছে। সে আমার বোনের থেকে অনেক টাকা নেয়, টাকা ফেরত চাওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি।’ আশরাফুলকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। আসামিরা সবসময় বলে আসছে, তারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত না। সঠিক বিচার হলে তারা খালাস পাবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |