প্রচ্ছদ রাজনীতি সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যা, যে বিবৃতি দিলো ইসলামী আন্দোলন

সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যা, যে বিবৃতি দিলো ইসলামী আন্দোলন

রাজনীতি: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)র গুলিতে বিজিবির এক সৈনিকের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। বারবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড সরকারের ‘নতজানু’ পররাষ্ট্রনীতির কারণ। সীমান্তে হত্যারোধে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। তারা বলেন, জনগণের প্রত্যাখ্যাত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেশের কোটি কোটি মানুষকে সীমান্তে ফেলানীর মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখবে সেদিন বেশি দূরে নয়। নেতৃদ্বয় বলেন, বিএসএফের গুলিতে বিজিবির এক সৈনিককে হত্যার পরও রাষ্ট্রের কোন জোরালো প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ সরকারের কাছে বিজিবির সৈনিক হত্যার চেয়েও নিজেদের ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা বেশি প্রয়োজন। এজন্য সীমান্তে পাখির মত বাংলাদেশি হত্যা করলেও সরকারের কোন প্রতিবাদ নেই।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনো সীমান্তে এত পরিমাণ বেসামরিক নাগরিক খুন হওয়ার নজির নেই। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বিভিন্ন মাত্রায় প্রায়ই যুদ্ধ হয়। দুই পক্ষের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিহত হন। কিন্তু বেসামরিক নাগরিক খুন হওয়ার ঘটনা সেখানে নেই বললেই চলে। শুধু বাংলাদেশ সীমান্তই মানুষের রক্ত, লাশ আর খুনের সীমান্ত। তারা বলেন, ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশ হত্যা বন্ধে এবং বিজিবি সদস্য খুনের বিদেশ আইনের বিধি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই আইনে অবৈধভাবে তাদের দেশে প্রবেশের শাস্তি রাখা হয়েছে পাঁচ বছরের জেল ও জরিমানা। অথচ আইনের চরম লঙ্ঘন করে সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রায়ই নির্মমভাবে গুলি করে মারা হয়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।