দেশজুড়ে : পটুয়াখালীর বাউফলের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক। সার্জেন্ট হিসেবে পুলিশে যোগদানের পর অবসরে গেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে। তার স্ত্রী জাফরিন পেশায় গৃহিণী হলেও তার ১ কোটি ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫২২ টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আবদুর রাজ্জাক পুলিশে চাকরির সময় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ স্ত্রীর নামে দিয়েছেন।।
অভিযোগ তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জাফরিনের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জাফরিনের সম্পদবিবরণী চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি স্থাবর সম্পত্তি দেখান ১ কোটি ১৩ লাখ ৩ হাজার ৭৩৩ টাকা ও অস্থাবর সম্পদ দেখান ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৯৪ টাকার। তদন্তে ফ্ল্যাটসহ জাফরিনের প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ পান কর্মকর্তা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নথি পর্যালোচনা করে সম্পদের তথ্য গোপন করার প্রমাণ পান তদন্ত কর্মকর্তা। মিরপুরের ১৫ নম্বর সেকশনে ফ্ল্যাট রয়েছে জাফরিনের। সেটির দাম গোপন করেন তিনি। শুধু রেজিস্ট্রি খরচ হিসেবে ২ লাখ সাড়ে ৯৪ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।
জমির দলিল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ফ্ল্যাটটির জমির মূল্য ৫ লাখ টাকা ও ফ্ল্যাটের মূল্য ১৯ লাখ টাকা। ফ্ল্যাটটি জাফরিনকে দেন তার স্বামী রাজ্জাক। দলিল অনুযায়ী, ২৪ লাখ টাকায় ফ্ল্যাটটি পেয়েছেন জাফরিন, যা দুদকে দেওয়া সম্পদবিবরণীতে দেখানো হয়নি। ৫৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪৫ টাকা পরিমাণ সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন জাফরিন।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজ্জাক সার্জেন্ট হিসেবে যোগদানের পর প্রথমে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও পরবর্তী সময়ে এএসপি পদে পদোন্নতি পান। এএসপি অবস্থাতেই অবসরে যান তিনি। রাজ্জাক পুলিশে চাকরির সময় দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করা অর্থ স্ত্রীর নামে রেখেছেন।
এ অভিযোগে জাফরিন ও তার স্বামী রাজ্জাক হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ১ জানুয়ারি ঢাকা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তানজিল হাসান মামলাটি করেছেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |