
আর্থিক সংকটে পড়া পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর আমানতকারীদের জন্য স্বস্তির খবর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি, ২০২৬) থেকে এই ব্যাংকের গ্রাহকরা তাঁদের জমা রাখা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাংক হলিডে থাকায় কোনো লেনদেন না হলেও বছরের প্রথম দিন থেকেই এই সুবিধা কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে নিচের নিয়মগুলো কার্যকর হবে:
১. উত্তোলনের প্রাথমিক সীমা: প্রাথমিকভাবে গ্রাহকরা তাদের চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন। যাদের আমানত ২ লাখ টাকার কম, তারা সম্পূর্ণ টাকাই তুলতে পারবেন।
২. অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলনের নিয়ম: হিসাবে ২ লাখ টাকার বেশি জমা থাকলে, প্রাথমিক ২ লাখ টাকা তোলার পর পরবর্তী প্রতি তিন মাস অন্তর ১ লাখ টাকা করে তোলা যাবে। এভাবে সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলনের সুযোগ মিলবে। তবে মোট আমানত ফেরত পেতে সর্বোচ্চ ২৪ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
৩. বিশেষ ক্ষেত্রে শিথিলতা: ক্যান্সার ও কিডনি ডায়ালাইসিসের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই উত্তোলনের সীমা বা সময়সীমার শর্ত প্রযোজ্য হবে না। মানবিক বিবেচনায় তারা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থ যেকোনো সময় তুলতে পারবেন।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক আমানত: প্রাতিষ্ঠানিক আমানতের ক্ষেত্রে ৭ লাখ টাকার বেশি অংশ ৫ বছর মেয়াদি আমানতে রূপান্তর করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক রেটের তুলনায় ১ শতাংশ কম (অর্থাৎ ৩ শতাংশ) মুনাফা দেওয়া হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের মতো জরুরি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক লেনদেনের সুযোগ পাবে।
৫. আমানত নবায়ন: ব্যক্তি পর্যায়ের ৩ মাস মেয়াদি আমানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও ৩ বার এবং ৬ মাস থেকে ১ বছর মেয়াদি আমানত ২ বার নবায়নের পর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক—এই পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ গঠন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার ফলে আমানতকারীদের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।









































