প্রচ্ছদ সারাদেশ শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না রেজার

শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না রেজার

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার মাহিলায় বাস দুর্ঘটনার ১০ ঘণ্টা পর পরিচয় মিলেছে একমাত্র নিহতের। নিহত যাত্রী যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে সেলিম রেজা (৪২)। তিনি বরিশালে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ৮টায় নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয় বলে জানান গৌরনদী মহাসড়ক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল মোল্লা। দুর্ঘটনায় আহত হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজারসহ ৮ যাত্রী শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুপারভাইজার বেল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক। বৃষ্টি পড়ছে মহাসড়কের অবস্থা ভালো নয় বলে চালককে বারবার অবহিত করা হলেও চালক কথা শোনেননি। গতি কমানোর জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি তা শোনেননি। বেপরোয়া গতিতে বাসটি দুর্ঘটনাকবলিত স্থান অতিক্রমকালে একটি ট্রাক ওভারটেক করেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক এলে চালক মহাসড়কের পাশে বাসটি নামিয়ে দেন। এসময় মহাসড়কের পাশে থাকা একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাসটি উলটে পুকুরে পড়ে যায়। এসময় বাসের ছাদ উড়ে যায়। এতে করে রক্ষা পায় যাত্রীরা। তবে এ দুর্ঘটনার জন্য চালক দায়ী বলে জানান তিনি। দীর্ঘ সময় পর তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

যাত্রী মশিউর রহমান বলেন, তিনি বাসের সামনে থেকে দুই সিটের পর ছিলেন। বেপরোয়া গতির বাসটি মহাসড়কের পাশে থাকা একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এসময় বাসটি দুইবার পাল্টি দেয় এবং বাসের ছাদ উড়ে যায়। তিনি সিট ধরে শক্ত করে বসা ছিলেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তার ডান হাত ভেঙে গেছে।

হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় এক যাত্রী নিহত এবং ৩৫ যাত্রীর সবাই কমবেশি আহত হন। তবে এদের মধ্যে ১০ যাত্রী বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের গৌরনদী আশোকাঠী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রেকার দিয়ে বাসটি তুলে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।