প্রচ্ছদ জাতীয় শিক্ষক-আয়ার গোপন সম্পর্ক ফাঁস! হাতেনাতে ধরে ভিডিও ভাইরাল

শিক্ষক-আয়ার গোপন সম্পর্ক ফাঁস! হাতেনাতে ধরে ভিডিও ভাইরাল

স্কুলের আয়া জান্নাতুল ফেরদৌসীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় ব্যানার্জীর। সময় পেলেই তাঁরা স্কুল থেকে উধাও হয়ে যেতেন এবং রিসোর্ট বা দূরবর্তী কোনো গোপন স্থানে মিলিত হতেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতেও পরিবারের চোখ ফাঁকি দিয়ে তাঁরা এলাকা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে একটি বদ্ধ ঘরে প্রবেশ করেন। কিন্তু বিধি বাম! কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হানা দেয় স্থানীয় জনতা।

জনরোষ এবং পিটুনির মুখে সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় ব্যানার্জী অকপটে তাঁদের অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। এরপর জনতা আয়া জান্নাতুল ফেরদৌসীর সঙ্গে তাঁদের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। শিক্ষকের এমন আচরণে নিন্দার ঝড় ওঠে নেটদুনিয়ায়।

ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে। সঞ্জয় ব্যানার্জী ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক এবং জান্নাতুল ফেরদৌসী আয়া হিসেবে কর্মরত।

রাঙ্গুনিয়া আহমদিয়া হালিম শাহ মাদরাসায় ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত
এর আগেও বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে একাধিক সংসার ভাঙার অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয় ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে। সর্বশেষ তিনি স্কুলের আয়া জান্নাতুল ফেরদৌসীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে স্কুল, পরিবার এবং এলাকার মানুষের মনে সন্দেহ দানা বাঁধায় সবাই তাঁদের ওপর নজর রাখছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা কুলিয়া আশু মার্কেট সংলগ্ন একটি বহুতল ভবনের বদ্ধঘরে রুদ্ধদ্বার অবস্থায় সময় কাটাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে উত্তেজনা সামাল দিতে দেবহাটা থানা পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেয় এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকাকে বলেন, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর শুক্রবার সকালে তাঁরা জরুরি সভা ডাকেন।

সভায় বিধি মোতাবেক শিক্ষক সঞ্জয় ব্যানার্জী ও আয়া জান্নাতুল ফেরদৌসীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।