প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার রাতে চাচির ঘরে ঢুকে বটির কো’পে গো’পনাঙ্গ হারালেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

রাতে চাচির ঘরে ঢুকে বটির কো’পে গো’পনাঙ্গ হারালেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

আপন চাচাতো ভাতিজার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল দুই সন্তানের জননীর। সম্পর্ক জানাজানি হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে ওই গৃহবধূর। পরে বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিশ থেকে শুরু হয়ে থানা পুলিশে গড়ায় ঘটনাটি। তবে ওই চাচিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় পরকীয়া প্রেমিক নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক ওই নেতা। পরে সালিশ মিমাংসার মাধ্যমে আগের স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। তবে কিছুদিন পরই আবারো দুজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক জোড়া লাগে। সেই পরকীয়া প্রেমিকা চাচির ঘরে গিয়ে তার হাতের বটির কোপে গোপনাঙ্গ হারালেন ভাতিজা।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামে। গোপনাঙ্গে বটির কোপে আহত সজল হোসেন ওই গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শৈলকুপা উপজেলা ডিগ্রি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। পরকীয়া প্রেমিকা চাচি কল্পনা খাতুন (২৭) ওই গ্রামের গার্মেন্টেসকর্মী সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী। তাদের ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও ছয় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আপন চাচাতো কাকি কল্পনা খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজল হোসেনের। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় গত বছরের নভেম্বর মাসে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন ওই গৃবধূর স্বামী। পরে পরকীয়া প্রেমিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভাতিজাকে বিয়ের দাবি করেন ওই গৃহবধূ। এনিয়ে গ্রাম্য সালিশ থেকে শুরু করে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে চাচিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় ভাতিজা। পরে কিছুদিন পর পুনরায় আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। এরপর গত ৬ মাস আগে বিয়ে করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা সজল হোসেন কল্পনা খাতুনের ঘরে গেলে তার গোপনাঙ্গে বটি দিয়ে কোপ দেয় ওই গৃহবধূ। এতে গোপনাঙ্গ কেটে যায়। পরে সেখান থেকে পালিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।

ওই গৃহবধূ বলেন, বিচ্ছেদের পরে সজল হোসেনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিলনা। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ ঘরে ঢুকে জোর করে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছিল। নিজেকে বাঁচাতে তিনি তার শরীরে বটি দিয়ে কোপ দিয়েছেন।

স্বামী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি, খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে এসেছি। চাচাতো ভাতিজা সজল জোর করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল’ । এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সজল হোসেন বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল এটা অস্বীকার করছি না। আসলে আমি ৬ মাস আগে বিয়ে করেছি। কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি তার কাছে ছিল এটা নিয়ে সে ব্লাকমেইল করছিল। আমার সংসারে অশান্তি লাগাতে আমাকে রাতে ডেকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান জানান, এমন কোনো ঘটনার অভিযোগ এখন পর্যন্ত থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: বার্তা বাজার