প্রচ্ছদ জাতীয় জনগণের জন্য রাজনীতি না করলে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়: মির্জা ফখরুল

জনগণের জন্য রাজনীতি না করলে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়: মির্জা ফখরুল

গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ গঠনের সুযোগ তৈরি হলেও রাজনীতিতে অনৈক্য দেখা দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “একটি মহল ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের ঐক্যে ভাঙন ধরাতে চায়।”

সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থায় হতাশা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি রাজনীতিতে সততা ও সৌন্দর্য ফেরানোর আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “রাজনীতির মধ্যেই যদি সৌন্দর্য না আনা যায়, তাহলে রাজনীতি কখনোই সুন্দর হবে না। ৭১ এবং ২৪-এর যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেটি অটুট রাখতে হবে।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যারা ব্যক্তিস্বার্থ ও লুটপাটের রাজনীতি করেন, তাদেরই দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। “দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় জনগণের কাছ থেকে। যারা শুধু সম্পদ গড়ে, ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজনীতি করে, তারা মানুষের ঘৃণা ছাড়া কিছুই পায় না।”

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে দেশকে নতুন করে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার। কিন্তু অনেকের আচরণে হতাশা দেখা যাচ্ছে। “এত বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে দেশটাকে আবার সুন্দর করে গড়ে তোলার। কিন্তু চারদিকে দেখছি, অনেকের সুরে হতাশা।”

এদিন পরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ জন বিএনপিতে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনার চেষ্টা করছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু কুচক্রী মহল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট জাতীয় ঐক্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। “বিভিন্ন রকম কথা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা ঐক্যে ভাঙন ধরাতে চায়। কিন্তু আমরা অত্যন্ত সচেতনভাবে এই ভাঙনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে, যা প্রতিহত করতে হবে। “আমরা চাই, এই দেশ আবার ঐক্যের মাধ্যমে সুন্দরভাবে গড়ে উঠুক।”

সূত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ