জাতীয়: গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারের গেইটের বাইরে অতিরিক্ত লোক জড়ো হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত পৌনে ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পাননি।
প্রায় ত্রিশটি মামলায় জামিল লাভের পর গতকাল রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত কারা কর্তৃপক্ষ তার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাকে কারা ফটকের অফিস রুমে নিয়ে বের হবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও তাকে মুক্তি দেননি। মাওলানা মামুনুল হককে রিসিপ করার জন্য হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বিকেল ৫টা থেকেই কাশিমপুর ৪ নং সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের গেইটে অপেক্ষায় রয়েছিলেন। কারাগারের বাহিরেও মাওলানা মামুনুল হকের বহু ভক্ত তাকে একনজর দেখার জন্য জড়ো হয়েছে বলে জানা গেছে।
কাশিমপুর কারাগারের গেইটে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রহণ করার জন্য হেফাজতে ইসলামের যেসব নেতৃবৃন্দ অপেক্ষা করেছিলেন তারা হচ্ছেন, দেওনার পীর প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল হকের ভাই মাওলানা মাহফুজুল হক, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা কোরবান আলী, মাওলানা শরাফত হোসাইন,
মাওলানা তাফাজ্জুল হোসাইন মিয়াজী, যুব মজলিসের নেতা মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা শরীফ হোসাইন ও মাওলানা এহেসানুল হক। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ রাতে কাশিমপুর কারাগারের গেইট থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পেলে তাকে মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউজিংস্থ নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তার স্ত্রী, ৪ ছেলে তাকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানা গেছে।উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্ট থেকে মাওলানা মামুনুল হক গ্রেফতার হন।
এ যাবত তার বিরুদ্ধে প্রায় ত্রিশটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর-৪ হাই সিকিউরিটি কারাগারে রয়েছেন। সর্বশেষ মামলায় গত রোববার চট্টগ্রামের সিএমএম আদালতে তার জামিন হয়। তার মুক্তিতে এখন আর বাধা নেই।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |