প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার যে কারণে বিয়ের ৪ দিনের মাথায় নববধূকে হত্যা, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

যে কারণে বিয়ের ৪ দিনের মাথায় নববধূকে হত্যা, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

অপরাধ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের ৪ দিন পর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বামী আব্দুল হামিদকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, মোবাইল দেখা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে তাছলিমা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী আব্দুল হামিদ।

জানা যায়, হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী ছেলে আব্দুল হামিদের সঙ্গে ৭/৮ মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুই পরিবার বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিয়ের পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে আব্দুল হামিদ। এরমধ্যে একবার তাছলিমাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাছলিমাকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী হামিদুল। এ সময় হামিদুলের বড় ভাই হানিফ বাধা দিলে তাকেও হামিদুল ছুরিকাঘাত করে।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে তার স্ত্রী মোবাইল ধরতে নিষেধ করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুরি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।

২৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান আরিফ বলেন, সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।